chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘নিঃশ্বাসে বিষের গন্ধ’

শহরে বাড়ছে শ্বাসকষ্টসহ নান রোগ

চট্টগ্রামের বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত যেন বাতাসের সাথে গিলছে বিষ। বায়ুদূষণে প্রতিদিনই বাতাসে সেই বিষের পরিমাণ ।সবুজ গাছগাছালিতে ভরপুর ছিল বন্দরনগরী। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে কাটতে হয়েছে সেই সবুজ গাছগুলো।

জনগণের প্রয়োজনে তৈরি হয়েছে রাস্তা। রাস্তাগুলোয় বারবার পড়ছে উন্নয়নের কোপ। বৃষ্টি হলে কাদামাটি আর রোদে ধুলায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। এ যেন ধুলার মধ্যে বসবাস।

বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পযন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যেখানে উন্নয়ন এলাকা আবৃত না করে এলোমেলোভাবে রাস্তা কেটে কাজ করায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। অথচ এসব এলাকা আবৃত করে দিনে কমপক্ষে দুই বার পানি দেয়ার নিয়ম।

রাস্তার ধুলিকণার সাথে পাল্লা দিয়ে অবৈধভাবে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ানোর সংখ্যাও বাড়ছে। নিয়ম না থাকলেও শহরের যেখানে সেখানে তা পোড়ানো হচ্ছে। যার ফলে বর্জ্যের মধ্যে জমে থাকা মিথেন গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে।

এর পাশাপাশি বায়ুদূষণের জন্য রাস্তায় চলা অসংখ্য ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কালো ধোয়া দায়ী ও ট্রান্সবাউন্ডারি এয়ার পলিউশন বা প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা দূষিত বায়ু তো আছেই

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব উৎস থেকে তৈরি হওয়া ক্ষতিকর কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, সীসা, সিলিকন, নাইট্রিক অক্সাইড, অ্যালুমিনিয়াম ও টাইটেনিয়ামসহ নানা ধরনের দূষিত কণা বাতাসের সাথে মিশে যাচ্ছে। যাতে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে নগরবাসী।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সুযত পাল বলেন, প্রতিদিন  হাসপাতালে  শ্বাসকষ্ট  সংখ্যা  বেড়েছে । শহরেের  ধুলাবালি ফুসফুস থেকে হার্টের মাধ্যমে শরীরের সব জায়গায় চলে যাচ্ছে। এর কারণে অ্যাজমা হতে পারে, লাং-এর জটিলতা হতে পারে। দীর্ঘদিন এমন হতে থাকলে শেষ পর্যন্ত এটা ক্যান্সারের দিকে চলে যেতে পারে।

নগরজুড়ে ধুলায় আটকা পড়ে পথচারীর চোখ। সূর্যের আলো ঢাকা পড়ে যায় ধুলাবালিতে। বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে, জীবন-জীবিকার তাগিদে এই নগরে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাস করতে হয়, কিন্তু এখানে নগরবাসীকে দিনরাত নাকাল হতে হচ্ছে সড়কের ধুলা, খানা-খন্দকের কারণে। রাস্তাঘাটে খোঁড়াখুঁড়ি, ড্রেন পরিষ্কার, পাইপ বসানো, বৈদ্যুতিক লাইন টানাটানির কাজ চলে বছরজুড়ে।

আসমা খাতুন নামের এক অভিভাবক বলেন, তার ৫ বছরের সন্তানকে নগরীর বিমানবন্দর থেকে জামাল খান  স্কুলের সামনে পযন্ত ধুলবালিতে ৩ দিন পর পর অসুস্থ হয়ে যাছে।

ধুলাবালির এই যন্ত্রণা থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়েছিল দুটি সুইপিং গাড়ি। বর্তমানে দুই কোটি টাকা দামের গাড়ি দুটি অকার্যকর। নগরে কিছুদিন সেই গাড়িগুলো পানি ছিটালেও পরে আর দেখা মিলেনি আর ।

নগরীতে বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায় সিটি করপোরেশন,সিডিএকে  দূষলেন সাধারণ মানুষ।

এই বিভাগের আরও খবর