chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সবুজ মাঠ জুড়ে সোনালী সূর্যের হাসি

ভালো ফলনের আশা কৃষকের

সবূজের বুক চিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ সোনালী সূর্যের হাসি।চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে একবর্ষী ফুলগাছ ‘সূর্যমুখী’ ফুলের আবাদকে ঘিরে জমে উঠেছে হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম। গাছে ফুল আসতে শুরু করার পর থেকে এলাকার পরিবেশ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিভিন্ন স্থান থেকে তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের দর্শনার্থীরা প্রতিদিন ফুল দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।

দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা জানান, এমন সৌন্দর্যে মুগ্ধ তারা। চারদিকে বিস্তৃত সবুজ ফসলের মাঠ। মাঝখানে সূর্যমুখী ফুলের বাগান। ফুটে আছে হাজার হাজার হলুদ বর্ণের সূর্যমুখী ফুল। স¤প্রতি এই দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই দৃশ্যটি দেখেতে মন আইঢাই করে ওঠে প্রকৃতি প্রেমীদের।

কৃষক হসাইন বলেন, সূর্যমুখী ফুল লম্বায় প্রায় ৩ মিটার ও ব্যাস ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত দেখতে সূর্যের মত হওয়ায় এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। এবছর  ফলন ভালো হয়েছে ।ভালো দাম পাবো ।অনেক কোম্পানি আমাদের থেকে  সরাসরি মাঠ থেকে কিনে নিয়ে যায়।

ফুল বাগান দেখতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উমুল মাসাকিন ফালগুন বলেন, সূর্যমুখী ফুল সূর্যের দিকেই মুখ ঘুরিয়ে থাকা সূর্যমুখী ফুল আগে কখনো সরাসরি দেখা হয়নি। কিছুদিন ধরে ফেসবুকে ছবি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিই সূর্যমুখীর বাগান দেখতে আসব। তাই বন্ধুদের নিয়ে বাগানটি নিজের চোখে দেখতে আসা। একসঙ্গে এত ফুল দেখে আমি অভিভূত।

গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সূর্যমুখী ফুলের বীজ হাঁস মুরগির খাদ্যরূপে ও তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই বীজ যন্ত্রে মাড়াই করে তেল বের করা হয় ৷ তেলের উৎস হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়। সমভুমি এলাকায় শীত ও বসন্তকালে, উঁচু লালমাটি এলাকায় বর্ষাকালে ও সমুদ্রকুলবর্তী এলাকায় শীতকালীন শস্য হিসাবে চাষ করা হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে সূর্যমুখী একটি তেল ফসল হিসেবে বাংলাদেশে আবাদ হচ্ছে। সূর্যমুখী  তেল ক্ষতিকর কোলেস্টরেলমুক্ত। তাই দেশে তেলের ঘাটতি মেটাতে ব্যাপকভাবে সূর্যমুখী চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বারি-৩ জাতের নতুন সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে ব্যাপক আবাদের মাধ্যমে একদিন দেশের ভোজ্যতেলের ঘাটতি মেটাবে বলে এবার বারি-৩ জাতের আবাদ হচ্ছে। এই জাতে প্রতি একর আবাদে ৫ কেজি বীজ লাগে।

গবেষণা কেন্দ্রটির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খলিলুর রহমান ভূঁইয়া জানান, বীজের জন্য খামারে প্রতি বছরই কমবেশি সূর্যমুখীর চাষ করা হয়। এবার আমাদের এখানে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। এই এলাকার মাটিতে সূর্যমুখী ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হতে পারে। অনেক কৃষক সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এটি বাণিজ্যিক দিকে ভূমিকা রাখবে।

চখ/জুঈম

এই বিভাগের আরও খবর