চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে অমর একুশে বইমেলা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। সি আর বি শিরীষতলায় অনুষ্ঠিতব্য ২৩ দিনব্যাপী এ বইমেলা শেষ হবে ২ মার্চ। প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে ছুটির দিনে মেলা শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে।
চট্টগ্রামের সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, নাগরিক সমাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাহিত্যিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী এবং অন্যান্য শিল্প–সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরাই সম্মিলিতভাবে এ মেলা বাস্তবায়ন করছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এই বই মেলার আয়োজন হয়ে আসছে ২০১৯ সাল থেকে সম্মিলিত উদ্যোগে।
কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু মেলা কমিটির আহ্বায়ক ও চসিক শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি বলেন, ‘একেবারে শেষ মুহুর্তে সিআরবি শিরীষতলায় অনুমতি পেয়েছি। বই মেলায় স্টল থাকবে ১৬০টি। এরমধ্যে প্রকাশনার স্টল থাকবে ১৩৭টি। মেলা উপলক্ষে দুটি গাড়ি দিয়ে ৪১টি ওয়ার্ডে প্রচারণা শুরু হয়েছে। নগরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার, ফেস্টুন লাগানো হচ্ছে।’
‘সিআরবির আশপাশে সারা বছরই মাদকসেবীদের উৎপাত এবং ছিনতাইসহ হেনস্থার শিকার হন পথচারীরা’- শুরু হতে যাওয়া বইমেলার নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন দর্শনার্থী ও প্রকাশকরা। মেলা প্রাঙ্গনের আশপাশের এলাকায় যদি পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা না থাকে দর্শনার্থীরা বিড়ম্বনার শিকার এবং বই চুরির আশঙ্কা করছেন প্রকাশকরা। ফেব্রুয়ারি মাসে বৃষ্টিও ভাবাচ্ছে প্রকাশকদের।
এই বিষয়ে মেলা কমিটির আহ্বায়ক ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু জানিয়েছেন,দর্শনার্থী ও প্রকাশকদের চিন্তা আমলে নিয়েই মেলা প্রাঙ্গণের সৌন্দর্য বাড়াতে লাইটিংয়ের পাশাপাশি প্রবেশ পথগুলোতেও লাইটিং করা হবে। বৃষ্টি হলে পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামের অমর একুশে বই মেলা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। বইমেলার যে উপ-কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে তারা আন্তরিকভাবে কাজ করলেই বইমেলা সফল হবে বলে মনে করি। বইমেলা সফল করতে প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস, নয়তো বইমেলা সফল করা যাবে না। উৎসবমুখর বাঙালির প্রাণের উৎসব এই বইমেলা হয়ে ওঠুক বাঙালির মিলনমেলায়।’
- মোহভ|ফখ|চখ