chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আগুন দিয়ে ছবি-ভিডিও পাঠানো হচ্ছে লন্ডনে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগুন সন্ত্রাস করে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না। যেসব নেতারা এসব ঘৃণ্য ও জঘন্য কাজের নির্দেশদাতা তারাও সমান অপরাধী। জনগণের দাবি- ভদ্রবেশি এসব নেতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার। যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, আমাদের প্রধান কিছু কাজের মধ্যে অন্যতম হবে আগুন সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন করা। একটি সভ্য দেশে এসব চলতে দেওয়া যায় না।

আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সমস্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচণ্ড আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সে জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, সার্কভুক্ত এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলো থেকে শুরু করে অনেক দেশ ও সংস্থা নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মহল এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে বিধায় তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যাপকহারে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। আশা করি আগামীকাল দেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ধস নামানো বিজয় হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।

যারা সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মারছে তাদের নির্মূল করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা এই নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে, এদের ব্যাপারে আশা করি আন্তর্জাতিক মহল মুখ খুলবে। এই দুষ্কৃতিকারীদের নিবৃত্ত ও নির্মূল করার ক্ষেত্রে তারাও সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, গতকাল ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসের চারটি বগিতে বিএনপি-জামাতের দুস্কৃতিকারীরা আগুন দিয়েছে। যেভাবে এই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে এতে এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল ঠিক একইভাবে বর্বরোচিত হামলা তারা গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে।

গতকাল ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর বিএনপি একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করেছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, সমস্ত ঘটনা ঘটিয়ে অস্বীকার করা বিএনপির অভ্যাস। ইতিপূর্বেও একই এলাকায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মা ও শিশুসহ চারজন একসাথে মৃত্যুবরণ করেছে। ওই এলাকায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস সাহেবের বাড়ি। এর আগের ঘটনা কার নির্দেশে, কারা করেছে, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগুন সন্ত্রাসের ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায়। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট হচ্ছে, নাশকতা করার পর এগুলোর ছবি তোলা এবং ভিডিও করা হয় এবং সেগুলো লন্ডনে পাঠানো হয়। সেগুলো পাঠালে নাশকতাকারীদের দলে পদোন্নতিসহ নানাভাবে পুরস্কৃত করা হয়। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। রাজনীতির নামে এত জঘন্য ও ঘৃণ্য নাশকতা এবং মানুষ পুড়িয়ে মারার মহোৎসব পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে ঘটে নাই, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামাত করে চলেছে।

ড. হাছান বলেন, ভোট শতভাগ সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত কঠোর এবং বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে এবং ভোট যে শতভাগ অবাধ ও স্বচ্ছ হবে সেই ব্যাপারে জনগণের মধ্যেও বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে। অবাধ সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বোতভাবে সহায়তা করছে বলেও জানান তিনি।

 

 

 

 

জয়/চখ

এই বিভাগের আরও খবর