chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নির্বাচনে জিতলে হাইস্কুলের ছাত্রাবাস ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব: বীর বাহাদুর

বান্দরবান ৩০০ নং আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, আমাদের আওয়ামী লীগ নেতারা ত্যাগী। আওয়ামীলীগ নেতাদের খাই খাই অভ্যাস নেই। কিন্তু বিএনপি’র নেতারা খাই খাই, তাই জনগণও বলে নাই নাই। তারা এখন এলাকাবাসীকে নির্দেশ দিচ্ছে নির্বাচনে যাবেন না। জনগণকে ভোটে যেতে না করার ওরা কে ? আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দিব। বিএনপিকে জনগণ ভোট দিবেনা, এটা জেনেই তারা ভোটে আসেনি। ক্ষমতায় থাকা সময়ে তার কি করেছে মানুষ জানে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় লামা উপজেলার রূপসীপাড়া বাজারে ইউনিয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কর্তৃক আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান ৩০০ নং আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং বক্তব্য রাখতে গিয়ে এইসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামীতে যারা গৃহহীন থাকবে, তাদের সবাইকে ঘর দেয়া হবে। বান্দরবানে একটা মসজিদ হলে, একটা গির্জা, একটি মন্দির ও একটি ক্যাং হয়েছে। আমাদের সম্প্রদায় বেশী, মহব্বত বেশি। তাই সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদও বেশি। আমাদের বান্দরবানে ভিক্ষুক নাই বললেই চলে। বাহির থেকে এসে এখানে ভিক্ষা করে। এখানের মানুষ পেটে পাথর বাঁধবে, কিন্তু ভিক্ষা করবেনা। রূপসীপাড়া হাইস্কুল হয়েছে। অনেক দূর থেকে বাচ্চারা আসে। ‘আল্লাহ যদি বাঁচিয়ে রাখে, তো ক্ষমতায় যাই, আমি এখানে ছাত্রাবাস করে দিব।’

বীর বাহাদুর উশৈসিং আরো বলেন, যে রূপসীপাড়ায় এক সময়ে হেঁটে আসতে হয়েছে, আজ ওখানে ১৮ ফুট প্রসস্ত রাস্তা হয়েছে। জিয়াউর রহমান খাম্বা দিয়ে গেছে। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। তিন পার্বত্য জেলার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে নাই ওইসব এলাকায় ৪২ হাজার ৫০০ শত পরিবারকে সোলার দেয়া হয়েছে। হাতে হাতে মোবাইল ফোন শেখ হাসিনার অবদান। আমরা যদি নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে দেখবেন রূপসীপাড়া কি থেকে কি হয়। গ্রামে গ্রামে রাস্তা দেয়া হবে, স্কুল করা হবে, বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে। যোগাযোগের উন্নয়নের কারণে কৃষিতে বিপ্লব শুরু হয়েছে। আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে ৬ বার নির্বাচিত করেছেন।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বলেন, যে যত জ্ঞানী হবে সে তত তার পরিবার ও রাষ্ট্রের সেবা করতে পারবে। ২টা থেকে আজ বান্দরবানে ১৪টা কলেজ। প্রত্যেক উপজেলায় ফায়ার বিগ্রেড, ৫০ শয্যা হাসপাতাল হয়েছে। অতীতে কোন সরকার এইসব উন্নয়ন করেন নাই। বিএনপির ভাইয়েরা আমার কথা শুনছেন। আসেন মাইকে, আমার কথা ভুল হলে চ্যালেঞ্জ করেন। আমি মিথ্যে বলেছি কিনা। আপনারা বিধবা বোন ও মাকে এক টাকা দিয়ে সাহায্য করেন নাই। যিনি দলের প্রধান তারেক সাহেব, মায়ের অসুখের কথা শুনে একবার মাকে দেখতে আসেননাই। যার মধ্যে মায়ের জন্য দরদ নাই, ভালোবাসা নাই। সে এই জাতিকে, এদেশের মানুষকে কি সেবা করবে ?

তিনি বলেন, কথা আছেনা, যে হয় ৯ বছরে হয়, যে হয়না সে ৯০ বছরেও হয়না। আর ওরা (বিএনপি) ৯০০ বছরেরও হবেনা। সামনে সংসদ নির্বাচন। আপনারা উন্নয়ন চাইলে, সম্প্রীতি চাইলে, অধিক এলাকার কল্যাণ চাইলে, শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই। বান্দরবান আমার পরিবার, আমার সংসার। সবাইকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। কেউ কাউকে অবহেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নাই। আমাদের সন্তানরা ম্মার্ট হয়ে শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে। পার্বত্য এলাকার মানুষ দেশের জন্য বোঝা হবেনা। বান্দরবান বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম জেলা। ৭টি উপজেলা, ২টি পৌরসভা, ৩৪টি ইউনিয়ন, ৯৬টি মৌজা, ১৫০০ গ্রাম নিয়ে বান্দরবান। বৃটিশের ২০০ বছর পাকিস্তানের ২৩ বছর আর বাংলাদেশ স্বাধীনের ৫২ বছরে মধ্যে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার সময়টা ছাড়া কোন উন্নয়ন হয়নি। কয়েকশত বছরের যা উন্নয়ন হয়নি, বীর বাহাদুর একবারে সব উন্নয়ন করতে পারবেনা। উন্নয়নের জন্য নৌকাকে আবারো ভোট দেয়া আহবান করেন বীর বাহাদুর।

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন, রূপসীপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আনিছুর রহমান। এসময় এরা উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ পাশ, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য মুক্তিযাদ্ধা শেখ মাহাবুবুর রহমান, ফাতেমা পারুল, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মা, রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা সহ প্রমূখ।

এরপর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং বিকেল ৩টায় লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা স্কুল মাঠে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজিত নির্বাচনী জনসভা এবং সন্ধ্যায় লামা পৌর বাস টার্মিনালে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আরেকটি বিশাল নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর