chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

গাজায় আবাসিক ভবনে হামলায় নিহত ২০, যুদ্ধ বন্ধে মিশরের তিন প্রস্তাব

উত্তর গাজায় কুয়েত হাসপাতালের কাছে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ২০ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে রাফাহ আবু ইউসুফ আল নাজ্জার হাসপাতালের পরিচালক মারওয়ান আল-হামস উপহাস ও গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

 

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ৩২০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছে ৫৫ হাজার ৬০৩ জন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন ১১৩৯ জন ইসরায়েলি।

 

আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী মিশর গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তিন ধাপের একটি পরিকল্পনা পেশ করেছে।

 

এর আগে লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের বেশ কিছু জায়গায় রকেট ও ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব রকেট ও ড্রোন ভূ-পাতিত করা হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উত্তর ইসরায়েলে লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রকেট ও ড্রোন ভূ-পাতিত করা হয়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

এমএসএম

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-সংঘাত ইসরায়েল ফিলিস্তিন হামলা
বিজ্ঞাপন

পরবর্তী খবর
আশ্রয়প্রার্থীদের তৃতীয় দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা জার্মানির
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
আশ্রয়প্রার্থীদের তৃতীয় দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা জার্মানির সিডিইউ চেয়ারম্যান ফ্রিডরিশ ম্যাৎর্জ (বামে) ও তার মহাসচিব কার্স্টের লিনেনমান উভয়ই রক্ষণশীল অভিবাসন নীতির পক্ষে কথা বলেন/ ছবি: সংগৃহীত
জার্মানির রক্ষণশীল বিরোধী দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) দেশটিতে আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসীদের তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে চায়। বিষয়টি নিয়ে চলতি ডিসেম্বরের শুরুতে ‘বেসিক প্রিন্সিপলস প্রোগ্রাম’- নামে একটি খসড়া পরিকল্পনাও তৈরি করেছে দলটি।

পরিকল্পনা অনুসারে, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মডেল অনুসরণ করে জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করা অভিবাসীদের তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো হবে। ২০২৪ সালে এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত রূপ পেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খসড়াটি প্রকাশের পর সিডিইউয়ে আইনপ্রণেতা ইয়েন্স স্পান দাবি করেছেন, এমন পরিকল্পনা জার্মানিতে ‘অনিয়মিত অভিবাসন’ ব্যাপক হারে কমিয়ে দেবে

আরও পড়ুন: জার্মানিতে বাজেট সংকট, সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ

বিজ্ঞাপন

বড়দিনের আগে জার্মান সংবাদমাধ্যম নয়ে ওসনাব্র‍্যুকার সাইটুংকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা যদি এই কাজ চার, ছয় বা আট সপ্তাহ ধরে চালু রাখতে পারি, তাহলে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে যাবে।

স্পান বলেন, এই পরিকল্পনার ফলে অভিবাসীরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে নিরুৎসাহিত হবেন। স্পানের ধারণা, অনেক দেশই আশ্রয়প্রার্থীদের প্রক্রিয়াকরণে রাজি হবে। তিনি বলেন, সম্ভবত রুয়ান্ডা রাজি হবে, ঘানাও রাজি হতে পারে। আমাদের এ বিষয়ে জর্জিয়া ও মলদোভার মতো পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গেও কথা বলা উচিত।

এর আগে, ২০২২ সালে রুয়ান্ডার সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করেছিল যুক্তরাজ্য। তবে এ বছরের নভেম্বরে ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠালে তারা দুর্ব্যবহারের শিকার হতে পারেন বলে উল্লেখ করে এই চুক্তি স্থগিতের পক্ষে রায় দেয়। আদালত মনে করে, রুয়ান্ডার আশ্রয়ব্যবস্থা সুষ্ঠু এবং মানবিক কিনা—তা নিশ্চিত করার কোনো ব্যবস্থা নেই।

আদালতের রায়ের পরও অবশ্য ব্রিটিশ সরকার রুয়ান্ডা পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি বরং কিছু সংশোধন করে রুয়ান্ডার সঙ্গে নতুন এক চুক্তি সই করেছে ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটেন অবশ্য এরই মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রুয়ান্ডাকে ২৪০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা) দিয়েছে। আগামী বছর দেওয়ার কথা রয়েছে আরও ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৭০০ কোটি টাকা) ৷ কিন্তু এখনো পর্যন্ত একজন অভিবাসীকেও সেখানে পাঠানো হয়নি।

 

অন্য নানা সমস্যার পাশাপাশি ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট এটিও জানিয়েছে যে,২০১৩ সালে রুয়ান্ডার সঙ্গে একই ধরনের চুক্তি করেছিল ইসরায়েল। কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকার চুক্তিটি করার আগে আগের সেই চুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখেনি।

এদিকে, ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্কও একই ধরনের পরিকল্পনা করতে রুয়ান্ডার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে একা নয় বরং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্যান্য দেশকে সঙ্গে নিয়ে এমন চুক্তি করতে চায় ডেনমার্ক।

পেতে ফলো করুন আমাদের
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে। পরিকল্পনা অনুসারে আশ্রয়প্রার্থীদের ইউরোপের সীমান্তেই যাচাইবাছাই করা হবে। আবেদন খারিজ হলে তাদের সেখান থেকেই ফেরত পাঠানো হবে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এই বিভাগের আরও খবর