chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে বন্দরে ধ্বংস করা হবে ৮২ গাড়ি

কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় বিভিন্ন দেশ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ৮২টি গাড়ি ভেঙে স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে এসব গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী বলে প্রতিবেদন পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

স্ক্র্যাপ করা গাড়িগুলো হল- মিত্সুবিশি, মার্সিডিস বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, ল্যান্ড রোভার, ল্যান্ড ক্রুজার, সিআরভি, লেক্সাস, ফোর্ড, জাগুয়ার, দাইয়ু, হোন্ডাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, কারনেট ডি প্যাসেজ বা বিশেষ পর্যটন সুবিধায় বিভিন্ন সময়ে দেশে ১২১টি দামি গাড়ি নিয়ে আসেন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পর্যটক। এসব গাড়ির মধ্যে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টার পাশাপাশি মামলাসহ নানা জটিলতায় আটকে যায় ৮২টি গাড়ি। এসব গাড়ি ধ্বংস করা হবে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সি জানান, এখানে ৪০ বছরের পুরনো গাড়িও রয়েছে। বহুবার নিলামে তুলেও এসব গাড়ি বিক্রি করা যায়নি। তিনি বলেন, বিআরটিএর সুপারিশ অনুযায়ী কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এখন এই গাড়িগুলো স্ক্র্যাপ করবে। পরে নিলামে এসব বিক্রি করা হবে। তবে গাড়িগুলো কখন স্ক্র্যাপ করা হবে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু জানায়নি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন : বছরের শেষ দিন চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের আরও ২ স্টেশন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাস্টমসের অদক্ষতার কারণে সময়মতো গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়নি। এতে কাস্টমসের শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, গাড়িগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে জায়গা দখল করে রাখায় সেখানকার স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।

কাস্টমস আইন অনুযায়ী, বন্দরে আসার ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস নিতে হয়। এর মধ্যে না নিলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকারককে নোটিশ দেয়। এর ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না করালে নিলামে তোলে কর্তৃপক্ষ।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর