chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বড়দিনের ছুটির আগে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক থেকে নিজেদের সদস্যপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে অ্যাঙ্গোলা। এতে বড়দিনের দীর্ঘ ছুটি শুরুর হওয়ার আগে আগে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) কমেছে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওপেক থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারের পর শীর্ষ জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী দেশ অ্যাঙ্গোলা বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে বড়দিনের দীর্ঘ ছুটি শুরুর হওয়ার আগের সপ্তাহান্তে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৩২ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৭৯ দশমিক শূন্য ৭ ডলারে নামে। এদিকে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ৩৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমে ঠেকেছে ৭৩ দশমিক ৫৬ ডলারে ঠেকেছে।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ইতিবাচক অবস্থান এবং হুথি গোষ্ঠীর পণ্যবাহী জাহাজে হামলার কারণে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় গত সপ্তাহে সামগ্রিকভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের উভয় বেঞ্চমার্কের দাম প্রায় ৩ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে তার আগের সপ্তাহে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম এক শতাংশেরও কম বেড়েছিল।

মূলত মধ্যপ্রাচ্যের পণ্যবাহী জাহাজ মালিকরা জানিয়েছেন, ইসরাইল-গাজা যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় ইরান সমর্থিত হুথি জঙ্গি গোষ্ঠি পণ্যবাহী জাহাজের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এতে তারা লোহিত সাগরের রুট এড়িয়ে অন্য রুট দিয়ে পণ্য পরিবহন করছেন।

এমনকি জাহাজ ও সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহন খাতের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান মায়েরস্ক ও সিএমএ সিজিএম জানিয়েছে, অন্য রুট ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করার জন্য তারা অতিরিক্ত অর্থ চার্জ করবে।

হুথি গোষ্ঠীর এ আক্রমণের কারণে সুয়েজ খালের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন ব্যাপকভাবে বিঘ্ন ঘটেছে। এই রুট দিয়েই বিশ্বের প্রায় ১২ শতাংশ বাণিজ্য হয়ে থাকে।

পণ্য সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয়ে পিভিএম বিশ্লেষক জন ইভান্স বলেছেন,লোহিত সাগরের বর্তমান পরিস্থিতে সরাসরি পরিবহন করতে সময় ক্ষেপণ হওয়াই এখানে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার একমাত্র কারণ নয়। এখানে ফ্রেইট চার্জ এবং বামী খরচের বিষয়টিও জড়িত রয়েছে।

এদিকে আফ্রিকায় পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক থেকে অ্যাঙ্গোলার বেরিয়ে যাওয়া সিদ্ধান্ত দেশটির তেল ও অন্যান্য খাতে বেইজিংয়ের বিনিয়োগ বাড়ানোর পথ খুলে দিতে পারে। কেননা দেশটি দৈনিক প্রায় ১ দশমিক ১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে।

এ বিষয়ে প্রাইস ফিউচার গ্রুপের বিশ্লেষক ফিল ফ্লিন বলেন, ‘অ্যাঙ্গোলার জ্বালানি তেল উৎপাদনের হার বাড়াতে সময় লাগবে। এমনকি চীন যদি সেখানে বড় বিনিয়োগও করে, তারপরও দেশটির উৎপাদন বাড়াতে সময় লাগবে। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির ডেটা এবং লোহিত সাগরে হুথি গোষ্ঠীর হামলার ঘটনা তেলের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব ফেলবে। এর প্রভাব ভবিষ্যতে অ্যাঙ্গোলার উৎপাদন বৃদ্ধির প্রভাব থেকেও বেশি হবে।’

 

মআ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর