নির্বাচনী প্রচারণায় কণ্ঠশিল্পীদের কদর বেড়েছে
একটা সময় শুধু বিজ্ঞাপনেই ভয়েস ওভার আর্টিস্ট বা কণ্ঠশিল্পীদের কদর ছিল।তবে বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে প্রামাণ্যচিত্রে ধারা বর্ণনা,ক্রীড়া ধারাভাষ্য, ব্যক্তিগত প্রচার, নির্বাচনী প্রচারণা বা প্রভৃতি ক্ষেত্রে একটু বাড়তি আকর্ষণ, বাড়তি মনোযোগ ও স্মার্টনেস উপস্থাপনায় ভয়েস আর্টিস্টের চাহিদা বেড়েছে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রচারণা।
লিফলেট পোস্টার এর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নির্বাচনী প্রচারণায় ভয়েস ওভার আর্টিস্টদের চাহিদা। চটগ্রাম শহরে বিভিন্ন রেকর্ডিং স্টুডিও তে চলছে ব্যস্ততা।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন সটুডিওতে দেখা গেছে, ‘মা বোনদের বলে যাই … মার্কায় ভোট চাই’, ‘মায়ের কোলে শিশুর ডাক…ভাই জিতে যাক’, ‘উড়ছে পাখি দিচ্ছে ডাক … ভাই জিতে যাক’, ‘মাগো তোমার একটি ভোটে… ভাই যাবে জিতে’, ‘ দুই কূল … জিতে যাবে…’, ‘… ভাইয়ের দুই নয়ন, চট্টগ্রামবাসীর উন্নয়ন’ ইত্যাদি স্লোগান রেকর্ডে তাল মিলাছেন শিল্পীরা।
আলাপচারিতায় সাবিহা আকতার নামের ভয়েস আর্টিস্ট জানান,আমি শব্দ নোঙর নামের একটি সংগঠনে আবৃত্তি চর্চা করি। আসতে আসতে উপস্থাপনা পরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভয়েজের কাজের মাধ্যমে নিজেকে পরিনত করার চেষ্টা করছি।
আবৃত্তি উপস্থাপনা অভিনয় শিল্পীদের পাশাপাশি তরুণদের এই পেশায় আগ্রহ রয়েছে।নগরীতে শিল্পকলা ভিত্তিক নানা সংগঠন এই সব ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মশালা প্রশিক্ষণ দিছেন।
বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী ও উপস্থাপীকা দিলরুবা খানম ছুটি বলেন,প্রমিত ভাষার চর্চা, শুদ্ধ উচ্চারণ, আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গি, আর অল্পবিস্তর অভিনয় জানা থাকলে যে কেউ আসতে পারেন এই পেশায়। নানা মাধ্যমের দর্শকের চাহিদার সাথে ক্রমেই বাড়ছে ভয়েস ওভার শিল্পীদের কাজ করার নানা ক্ষেত্রও।
স্টুডিও প্রোডিওসার ফরিদ বঙ্গবাসী বলেন, নির্বাচনের এই মৌসুমে স্লোগান রেকর্ডে কাজের চাপ বেড়েছে। নির্বাচনী গানের রেকর্ডে প্রাথীদের চাহিদা অনুসারে করা হচ্ছে। দক্ষ শিল্পীদের চাহিদা অনেক। তবে সেই অনুসারে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় প্রচারণার রেকর্ডে চাহিদা আগের তুলনায় বাড়ে নি।