chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নগরীর আলিগলিতে পিঠা-পুলি খাওয়ার আমেজ

শীত মানেই পিঠাপুলির ।শীত মানেই মাটির চুলায় মায়ের হাতে বানানো ভাপা পিঠা।এরপর পরিবারের সবাই মিলে খাওয়া। এমন সৌভাগ্য এখন আর খুব বেশি মানুষের হয় না। তাই তারা বেছে নিয়েছে নগরের অলি-গলিতে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানে বানানো পিঠা।

শীতের আগমন বার্তা দিতেই পিঠা খাওয়ার ধুম পরেছে নগরের বিভিন্ন স্থানে। শহরের মোড়গুলোতে এখন পিঠার ঘ্রাণ। এসব পিঠায় মায়ের আদর মাখা না থাকলেও আছে শহুরে পিঠা বিক্রেতাদের যত্ন। রাস্তায় অলিগলি ও ফুটপাতে পছন্দের শীতের পিঠা খেতে পেরে খুশি নগরের মানুষ।

কর্মজীবী মানুষেরা যেন শীতের পিঠার আমেজ থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য ফুটপাত, রাস্তার মোড়, হাট-বাজারগুলোতে ভ্রাম্যমাণ দোকানে পিঠা খাওয়া ও বিক্রির ধুম পড়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলে চালের গুঁড়ো দিয়ে সুস্বাদু এই পিঠা বিক্রি ও খাওয়ার পালা।

পাহাড়তী এলাকায় পিঠা বিক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন , শীত মৌসুমে তারা ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে ভাপা পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই রাত পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি। একেকটি পিঠা বিক্রি করা হয় ১০ টাকায়। যে পিঠাগুলো আগে আমরা ৫ টাকা দরে বিক্রি করতাম এখন সেগুলো ১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। চাল, গুড়, গ্যাসের দাম বেড়েছে। তাই পিঠার দামও বাড়িয়েছি।

নাজিম উদ্দীন বেসরকারী চাকরিজীবী ,বাসায় ফিরতে নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় ভাপা পিঠা বিক্রি করতে দেখে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তিনি বলেন, ঘরের নারীরা এখন ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পড়ে থাকে। অনেকে পিঠাপুলি বানাতে জানে না। তাই শীতের পিঠার স্বাদ নিতে এই দোকানে আসি। খেতে ভালোই লাগে।

নগরীর অভিজাত সুপার শপগুলোতেও বসেছে পিঠাপুলির আসর। বিক্রি হচ্ছে শীতের হরেক রকম পিঠা। যদিও দাম কিছুটা বেশি। সুপার শপে আসা ক্রেতারা কিনছেনও এসব পিঠা।

এই বিভাগের আরও খবর