chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

গ্রামে ভোর হচ্ছে ঘনকুয়াশার চাদর জড়িয়ে

ষড়ঋতুর এই বাংলায় শীতের আগমন বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে পৌষ ও মাঘ শীত কাল ধরা হলেও হেমন্তের শেষেই গ্রামে প্রকৃতিতে উঁকি দেয় শীত। প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন চট্টলার খবর এর প্রধান ফটোজার্নালিস্ট ফয়সাল এলাহী। 

কুয়াশার আঁচলে আচ্ছাদিত করে শীতের পরশ বুলিয়ে আগলে নেয়- প্রকৃতিতে শীতের চারপাশ। আগমনীর এই রূপ অনেকের প্রিয়। শুরু হয় শীতকে বরণ করে নেয়ার প্রস্তুতি।

ঘুমিয়ে থাকা গ্রামীণ জনপদে এখন ভোর আসে ঘন কুয়াশার চাদর জড়িয়ে। শান্ত নদীর জলে অতিথির পাখির জলকেলিতে আড়মোড়া ভেঙে কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে চারপাশ। যে গল্পের পরতে পরতে এখন হিম হিম আবেশ। কুয়াশার শুভ্র আচ্ছাদনে আটকে পড়ে দৃষ্টি। মাকড়শার জ্বালে জমে মুক্তাদানা। ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু টুপ করে ঝরে কানে কানে বলে দেবে শীত এলো বলে।

ঘন কুয়াশা মাড়িয়ে পূব আকাশে যখন রক্তরাঙা সূর্যের আবাহন তখন ভোরের সোনারঙা কোমল সূর্যরশ্মীতে গ্রামের মেঠো প্রান্তরের সবুজ প্রকৃতি বর্ণিল আলোয় দোল খেয়ে উঠে। এমনই স্নিগ্ধতায় মোড়ানো গ্রাম বাংলার শীতের সকাল। শীত মৌসুমের আনুষ্ঠানিক সূচনা না হলেও তার সৌন্দর্য ধরা দিচ্ছে। দৃষ্টির সীমানায়।

ভোরের শিশির মাড়িয়ে চাষি ছুটে চলে মাঠে। পরমযত্নে লালন করা ফসলে তখন খুশির ঝিলিক। হাঁস মুরগির দল নিয়ে মেতে ওঠে গৃহস্থালীর কাজে । খড়ির চুলায় জ্বলে উঠে সোনার বরণ, আর বাহারি সব পদের সুঘ্রাণ।

গ্রামীণ জীবনে শীতের ছোঁয়া লাগা সকাল মানেই চুলার পাশে জমে ওঠে উৎসব। পায়ে পায়ে ছন্দ উঠে আসে। নতুন চালের গুঁড়া আর খেজুর গুড়ের ঘ্রাণে মৌ মৌ করে উঠে অঙিনা। মা-চাচিরা পরম যত্নে পিঠা পুলি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। শুধু পুলি নয় রসনা বিলাসে আরও কত অনুসঙ্গ ভালোলাগা নিয়ে আসে এ শীতে।

শহুরে জীবনে অগ্রহায়ণের শেষ সময়ের চিরায়ত এ রূপের খোঁজ না মিললেও গ্রামীণ জনপদ পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, বোয়ালখালী, হাটহাজারি, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ে এরই মধ্যে পেয়ে গেছে শীতের আগমনী বার্তা।

ফখ|চখ

এই বিভাগের আরও খবর