তথ্যমন্ত্রীর মা বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম রচিত ‘বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরীর সিনিয়রস ক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্বের ২২টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বইটি রচনা করা হয়েছে।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, বাঙালি কখনো অধিকারের বিষয়ে আপস করেনি। আজকের বাংলাদেশ সারাবিশ্বের মানুষের কাছে গর্বিত। আজকের বাংলাদেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের দেশ। এদেশ অর্জন করার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর ধরে দেশ পিছিয়ে ছিল। তখন এদেশে খাদ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না, মানুষের মানবাধিকার ছিল না। তখন কেউ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলেনি।
তিনি বলেন, যারা আজ মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের কথা বলেন তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন শাহ এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে এবং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
বইটি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আজ যখন সারাবিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলার মতো মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তখন বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন হলো। গবেষণালব্ধ এই বইয়ে মানবাধিকারের বহু সৃজনশীলতা ও সৃষ্টিশীলতা বিষয়ে লেখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই বইয়ের লেখক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের মতো গর্বিত সন্তানের মা। বইটিতে অনেক দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে। লেখকের অভিজ্ঞতার আলোকে গবেষণালব্ধ তথ্য নতুন কিছু জানার সুযোগ করে দেবে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমেদ ভূঞা।
বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ এস এম বজলুর রশিদ মিন্টু, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সেকান্দর চৌধুরী, মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু মো. হাশেম, শিক্ষানুরাগী খালেদ মাহমুদ, অধ্যাপক নুরুল আনোয়ার, অ্যাডভোকেট এম এ নাছের চৌধুরী।
মআ/চখ