chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বাবাকে খুনের পর লাশ টুকরো করা ছেলে ৩ দিনের রিমান্ডে

নগরের ইপিজেডে হাসান আলী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর লাশ কেটে টুকরো করার মামলায় গ্রেফতার ছেলে শফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার (৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এর আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) ঢাকার হাজারীবাগের একটি কারখানা থেকে সফিকুরকে গ্রেফতার করে পিবিআই টিম। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে তাকে নিয়ে খণ্ডিত মাথার সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

পিবিআই জানিয়েছে, বাবাকে খুনের পর পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে নাম-পরিচয় গোপন করে একটি কারখানায় চাকরি নিয়েছিলেন গ্রেফতার সফিকুর রহমান জাহাঙ্গীর (৩০)। গ্রেফতার এড়াতে যেকোনো ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন তিনি।এর আগে গত ২ অক্টোবর গ্রেফতার জাহাঙ্গীর স্ত্রী আনারকলিকে নিয়েও তল্লাশি চালানো হয়েছিল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান জানান, হাসান আলী হত্যার পর লাশ কেটে টুকরো করার মামলায় গ্রেফতার ছেলে শফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

 

গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর পতেঙ্গা বোট ক্লাবের অদূরে ১২ নম্বর গেইটে একটি ট্রলিব্যাগ পাওয়া যায়। কফি রঙের ট্রলিব্যাগে ছিল মানব শরীরের ২ হাত, ২ পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত অংশ। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এর দুইদিনের মাথায় ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে নগরীর আকমল আলী সড়কের খালপাড়ে একটি খাল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় টেপে মোড়ানো শরীরের আরেকটি খণ্ড উদ্ধার করে পিবিআই। এছাড়া আঙ্গুলের ছাপ ও নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে নিহত ব্যক্তির পরিচয়ও নিশ্চিত করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম, সন্তান মোস্তাফিজুর রহমানক ও শফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আনারকলিকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

পিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, মো. হাসান দীর্ঘ ২৭ বছর আলাদা ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। তবে এর আগে হাসানকে মৃত উল্লেখ করে সন্তান মোস্তাফিজুর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে। তিনি ফিরে আসায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ইপিজেড থানার আকমল আলী সড়কের জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও সন্তান মিলে তাকে হত্যা করে। এরপর মরদেহ কেটে টুকরো করে লাগেজ ও বস্তায় ভরে পতেঙ্গা ও আকমল আলী রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর