চট্টগ্রামে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা,ঝুঁকিপূর্ণ ৩ লাখ ভবন
চট্টগ্রামে বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং ভূমিকম্পে ক্ষতির আশঙ্কা।বুয়েটের এক জরিপে দেখা গেছে বন্দর নগরীর পুরাতন নতুন মিলিয়ে ৩ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের যৌথ এক গবেষণায় বলছেন এদেশে বেশ কিছু চ্যুতি রয়েছে। এর মধ্যে ডাউকি চ্যুতি খুবই সক্রিয় ও বিপজ্জনক। ডাউকি ছাড়াও দেশের ভূমিকম্পের আরেকটি উৎস চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের মধ্যকার ভূ-অভ্যন্তরীণ ৬২ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত একটি সাবডাকশন অঞ্চল। এই অঞ্চলে একটি টেকটোনিক প্লেটের নিচে আরেকটি তলিয়ে যেতে থাকে এবং এই অঞ্চলজুড়ে সক্রিয় মূল চ্যুতির অনেকগুলো শাখাও রয়েছে।
সিলেটের জৈন্তাপুর অঞ্চলে ভূমিকম্পের আশংকা খুব বেশি। আরেকটি উৎস হচ্ছে সিলেট থেকে ত্রিপুরা হয়ে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, টেকনাফ পর্যন্ত। এই উৎসটি খুব ভয়ংকর, বলছেন গবেষকরা ।এর কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, টেকটনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল এই পাহাড়ি অঞ্চল যাকে ভূতাত্ত্বিক ভাষায় সাবডাকশন বলা হয়। পশ্চিমের প্লেটটি ভারতীয় প্লেট এবং পূবের পাহাড়ি অঞ্চলটি বার্মা প্লেট। ভারতীয় প্লেটটি বার্মা প্লেটের নিচে অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।”
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সাবডাকশন জোনে প্রতিনিয়ত শক্তি সঞ্চিত হচ্ছে। গত কয়েক শ বছর ধরে সেখানে প্রচুর শক্তি ইতোমধ্যে জমা হয়েছে।
তারা বলছেন বলছেন ভারতীয় ও বর্মী এই দুটো টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান হওয়ায় সিলেট-চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে কয়েক শ বছর ধরে প্রচুর পরিমাণে শক্তি সঞ্চিত হয়ে আসছে যার ফলে বড় ধরনের একটি ভূমিকম্প যে কোনো সময়ে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলছেন, “যে কোনো সময়ে এটা হতে পারে।”তবে ভূমিকম্প কোথায় হতে পারে আমরা তার স্থান নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছি। চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভূমিকম্প অবধারিত।”
সরকার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে এমনটা জানিয়ে চট্টগ্রামে ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, সেটা বাস্তবায়ন করা গেলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। যেমন ড্যাপ বাস্তবায়ন হলে শহরে আর বহুতল ভবন হবে না।