chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ফের সেই পুরানো মঞ্চে ফিরবেন মেসি-ডি মারিয়া !

খুব বেশিদিন আগের কথা না। বছর দুয়েক আগেও লিওনেল মেসির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের একমাত্র অর্জন ছিল অলিম্পিক স্বর্ণপদক। ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে এসেছিল সেই সাফল্য। সেবার আর্জেন্টিনার সাফল্যের বড় কারিগর ছিলেন মেসি এবং অ্যানহেল ডি মারিয়া। মেসির বাড়ানো পাসে বেইজিংয়ে ফাইনালের একমাত্র গোল করেছিলেন ডি মারিয়া।

১৬ বছর পর সেই উত্থানের মঞ্চেই আরও একবার দেখা যেতে পারে মেসি-ডি মারিয়া জুটিকে। এই আভাস দিয়েছেন তাদেরই একসময়ের সতীর্থ হ্যাভিয়েন মাশ্চেরানো। ২০০৮ এর সেই আসরে মাশ্চেরানো নিজেও ছিলেন। সেবার তিনি ছিলেন খেলোয়াড়। এবার হয়ত কোচ হিসেবে দেখা যাবে। আর এই ত্রয়ীকে দেখা যাবে ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে।

২০০৮ থেকে ২০২২; বন্ধুত্ব আজও অমলিন

তবে পুরো বিষয়টি বাস্তবায়নে এখনও ঢের বাকি। তবে সম্ভব হতেও পারে মাশ্চেরানোর কারণে। আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২৩ দলের দায়িত্ব তার হাতে। অলিম্পিক শুরু হতে ঢের দেরি হলেও এখনই কাজ শুরু করে দিয়েছেন এই কোচ। আর অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করলে মূল আসরে সাবেক দুই সতীর্থ মেসি ও দি মারিয়াকে দলভুক্ত করতে চান তিনি।

অলিম্পিকের আসরে অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলানোর নিয়ম। তবে একাদশে সিনিয়র তিনজন খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে প্রতিটি দল। তিন জনের সেই কোটাতে মাশ্চেরানো চান তার সাবেক দুই সতীর্থকে। তবে ক্লাব ফুটবলের কারণে এমনটা নাও হতে পারে। আর কোপা আমেরিকার মর্যাদাপূর্ণ আসরও আছে।

তবে অনুরোধ করতে নিশ্চয়ই দোষ নেই। সেখানেই আশা মাশ্চেরানোর। আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মেসি ও ডি মারিয়াকে নিজের দলে পাওয়ার আগ্রহ দেখান সাবেক এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, ‘দুজন বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে দলে পাওয়া অবশ্যই গর্বের বিষয় হবে। এমন খেলোয়াড় আছে, যারা কিছু বিষয় নির্ধারণ করে দিতে পারে। দলে লিওনেল মেসি ও অ্যানহেল ডি মারিয়াকে পাওয়া হবে সম্মানের ব্যাপার।’

আগামী জানুয়ারিতে ভেনেজুয়েলায় শুরু হবে প্রি–অলিম্পিক টুর্নামেন্ট। যেখানে লড়বে লাতিন আমেরিকার ৯টি দেশ। যেখানে শীর্ষ দুটি দেশ খেলবে প্যারিস অলিম্পিকে। সেটা উৎরে গেলেই মিলবে প্যারিস অলিম্পিকের টিকিট। তবেই কেবল নিজেদের ফেলে আসা মঞ্চে দেখা যাবে মেসি এবং ডি মারিয়াকে।

 

 

তাসু/চখ

এই বিভাগের আরও খবর