রজনীকান্তের ‘জেলার’ ৬০০ কোটির ক্লাব ছাড়িয়েছে
দক্ষিণী সিনেমার সুপাস্টার রজনীকান্ত। তিনি গত ৫ দশক ধরে দর্শকের বিনোদন দিয়ে যাচ্ছেন। রজনীকান্তর সিনেমা মানেই সবার কাছে আলাদা কিছু। তার সিনেমার জন্য মুখিয়ে থাকেন ভক্ত-অনুরাগীরা।
রজনীকান্তের ব্যতিক্রমী অভিনয় সিনেমাপ্রেমীদের মাঝে আলাদা স্থান করে নিয়েছে। তবে প্রথমেই তিনি অভিনয়কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেননি। বেঙ্গালুরুতে বাস কন্ডাক্টর হিসেবে পেশাদার জীবন শুরু করেছিলেন রজনীকান্ত।
সিনেমার পর্দায় অভিষেকের আগে ‘বাস কন্ডাক্টর’ ছিল রজনীকান্তের পরিচয়। তারপরে কেটে গিয়েছে প্রায় পাঁচ দশক। বড় পর্দায় নিজের ক্যারিশমা দেখিয়ে দর্শক ও অনুরাগীদের আনন্দ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গত ১০ অগস্ট মুক্তি পেয়েছে তার মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘জেলার’। মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই ৬০০ কোটির ক্লাব ছাড়িয়ে গিয়েছে এ সিনেমা বক্স অফিস ব্যবসা। সিনেমার সাফল্য উদযাপন করতে নিজের শিকড়েই ফিরে গেলেন রজনীকান্ত।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে নিজের পুরোনো কাজের জায়গায় দেখা গেল রজনীকান্তকে। বেঙ্গালুরুর ওই বাস ডিপোতেই কন্ডাক্টর হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি। তখন তার নাম শিবাজি রাও গাইকোয়াড়। বিখ্যাত তামিল পরিচালক কে বালাচন্দ্রের নজরে পড়েছিলেন তিনি। তারপর ১৯৭৫ সালে মুক্তি পায় কমল হাসানের সঙ্গে তার প্রথম সিনেমা ‘অপূর্ব রঙ্গলাল’। শিবাজি রাও থেকে তিনি হয়ে ওঠেন রজনীকান্ত।
তারপরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি রজনীকান্তকে। এখন পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন দক্ষিণী সিনেমার এ সুপার স্টার। মাসখানেক আগে শোনা গিয়েছিল, নিজের ১৭১তম সিনেমার কাজ শেষ করে নাকি অভিনয় জীবনকে বিদায় জানাতে চান রজনীকান্ত।
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে শোনা যাচ্ছে, সিনেমা নির্মাতা লোকেশ কনগরাজের সঙ্গে এ সিনেমায় কাজ করেই অভিনয় পেশা থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেই খবরে এখনই নিজে কিছু বলেননি সুপারস্টার। তবে, সাফল্যের শিখরে পৌঁছেও যে তিনি নিজের শিকড়কে ভুলে যাননি, তার প্রমাণ দিলেন দক্ষিণী সিনেমার এই সুপার স্টার।