chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সৌদি আরবের প্রথম রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানাল ফিলিস্তিন

ফিলিস্তিনের জন্য প্রথমবারের মতো একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে সৌদি আরব। আর এরপরই ওই রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। শোনা যাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী এই দেশটি ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে।

আর এর মধ্যেই ফিলিস্তিনের জন্য রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করল সৌদি আরব। শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, জর্ডানে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কূটনৈতিক উপদেষ্টা মাজদি আল-খালিদি শনিবার একজন অনাবাসিক দূত হিসেবে রাষ্ট্রদূত নায়েফ আল-সুদাইরির পরিচয়পত্রের একটি অনুলিপি পেয়েছেন।

নায়েফ আল-সুদাইরি বর্তমানে জর্ডানে সৌদি রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং এখন থেকে তিনি জেরুজালেমে কনসাল জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

আল-খালিদি বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ এই পদক্ষেপ শক্তিশালী ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরালো করতে অবদান রাখবে যা দুই দেশ এবং দুই দেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে আবদ্ধ করবে।

এদিকে দূত নিয়োগের বিষয়টিকে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত। সৌদির রাষ্ট্র-অধিভুক্ত আল-এখবারিয়া চ্যানেলে সম্প্রচারিত ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভাইদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে এবং সমস্ত ক্ষেত্রে কাজ আরও গতিশীল করতে বাদশাহ সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে’ এই পদক্ষেপ সেটিই তুলে ধরছে।

আল জাজিরা বলছে, ফিলিস্তিনি অঞ্চলের ফাইল ঐতিহ্যগতভাবে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অবস্থিত সৌদি আরবের দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক তালাল ওকাল বলেছেন, নতুন এই নিয়োগটি ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে সৌদি আরবের আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্বের দিকে একটি পদক্ষেপ।

ওকাল বলছেন, ‘সৌদি আরব যে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম রাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে, এই পদক্ষেপ সেই বিষয়ে একটি বার্তাও।’

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে ঠিক তখনই রাষ্ট্রদূতের নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মার্কিন, ইসরায়েলি এবং সৌদি কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন, এই ধরনের যেকোনও চুক্তিতে পৌঁছানো এখনও অনেক বাকি। কারণ দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযান থেকে শুরু করে সৌদি আরবের পারমাণবিক শক্তিন উন্নয়ন পর্যন্ত বেশ কিছু ইস্যু ইসরায়েল ও সৌদির সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রিয়াদ বারবার বলেছে, ফিলিস্তিনিদের সাথে সংঘাতের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন না করার যে কয়েক দশকের পুরোনো নীতি আরব লীগের রয়েছে এখনও সেই অবস্থানেই থাকবে তারা।

তবুও সৌদি-ইসরায়েল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রিয়াদ এবং ওয়াশিংটন আলোচনা করেছে। এর মধ্যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তার মতো বিষয়গুলোও রয়েছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে শান্তি এখন সময়ের ব্যাপার’।

 

 

তাসু/চখ

এই বিভাগের আরও খবর