chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পাহাড়ে সুচ মরিচ কিনতে পারছে না ক্রেতারা

বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে সর্বাধিক প্রচলিত চাষাবাদ পদ্ধতি ‘ হলো জুম চাষ’ এর প্রকৃত অর্থ হলো স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে চাষাবাদ করা। জুমে ধানের পাশাপাশি ভুট্টা, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়। স্থানীয় বাজারে উঠেছে জুমের সুচ মরিচ বা ধনিয়া মরিচ। কিন্ত দাম বেশি থাকায় সাধারণ মানুষ কিনতে পারছেন না। কাঁচার বদলে শুকনো মরিচ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকে।

সরেজমিনে (১ জুন) বিকালে রাঙামাটি সদরের আসামবস্তির স্থানীয় হাট বাজারে কাঁচা মরিচের সংকট দেখা যায়। দশ থেকে পনের ভাসমান দোকান ঘুরে কোথাও বালুচরের কাঁচা মরিচ পাওয়া যায় নি। শুধু মাত্র দুয়েক জন নারী জুমে উৎপাদিত সুচ বা ধনিয়া মরিচ বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি ৫৫০ – ৬০০ টাকা বিক্রি করছেন। অনেকে দাম জিজ্ঞেস করে খালি হাতে ফিরতে দেখা যায়। এছাড়া বাজারে বাঁশ কোড়ল কেজি ১০০ টাকা, জুমের বেগুন ৮০ টাকা,মারফা(জুমের শসা) ৬০ টাকা, পাকা আম ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মরিচ বিক্রেতা সাধনা চাকমা চট্টলার খবরকে বলেন, এবার গত বছরের তুলনায় জুমে কম সুচ মরিচ উৎপাদন হয়েছে। এই কয়েক দিন হলো বাজারে মরিচ এনেছি। এখন প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা বিক্রি করছি।

দাম বাড়তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাহাড়ে জুমের উৎপাদিত কোন সবজি বা মসলা প্রথম বের হলে দাম বেশি থাকে। মরিভ কয়েক দিন হলো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে৷ তাই দাম বেশি এবার। সপ্তাহ খানিকের পর দাম কমে যাবে।

জানা গেছে, পাহাড়ে সাধারণত জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই সুচ মরিচটি স্থানীয় হাট বাজারে পাওয়া যায়। পাহাড়ের জুমে এই মরিচটি চাষ করা হয়। জুমে ধানের পাশাপাশি -আলু (দেখতে কাঁটাযুক্ত), বিলাতি সিম, বাঁশ কোড়ল, ওল কচু, মাটি আলু, দেশি জাতের বেগুন, জুমের শসা, আঁখ, হলুদ, আদাসহ হরেক রকমের পণ্য উৎপাদন করা হয়। সেখানে ফলন এলে স্থানীয় পাহাড়ে নারীরা বিক্রি করতে যায়।

এদিকে তরকারি রান্না করতে প্রতিটি পদে পদে কাঁচা মরিচ ব্যবহার করেন পাহাড়ের জনগোষ্ঠী। হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। বর্তমানে বালুচরের মরিচটি পাহাড়ের স্থানীয় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কাঁচা মরিচ না কিনে বাজার থেকে শুকনো মরিচ নিয়ে ফিরছেন ক্রেতারা। আসামবস্তি বাজার থেকে মংফ্রু মারমা বলেন, সুচ মরিচ বাজারে এসেছে। কিন্ত দাম নাগালের বাইরে। স্বল্প আয়ের মানুষ আমরা। ৬০০ টাকা দিয়ে মরিচ কেনা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। বাজার মনিটরিং করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

চখ/জূঈম

এই বিভাগের আরও খবর