chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ঈদে দাম বাড়ল বিরিয়ানির চালের

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রায় সব ধরনের মসলা ও নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। যদিও স্থিতিশীল ছিল চালের বাজার। তবে পোলাও-বিরিয়ানির জন্য ব্যবহৃত সুগন্ধি চালের দাম বছরে বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা। অথচ গত বছর ঈদে যে চালের কেজি ছিল ১১০-১১৫ টাকা। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই চাল কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা।

জানা যায়, সুগন্ধি চালের সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকলে কেন দাম বেড়েছে তার কোনো সদুত্তরও নেই ব্যবসায়ীদের কাছে। কেউ বলছেন, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়ছে। আবার কেউ চাল বাজারে করপোরেট কোম্পানিগুলোর মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবারই ঈদের আগে সুগন্ধি চালের দাম বাড়ে, এবারও বেড়েছে। তবে এবছর রোজার আগেই এ চালের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিপ্রতি বাড়িয়ে দেয় প্যাকেটজাত প্রতিটি কোম্পানি। এই প্রভাবটাই পড়েছে খুচরা বাজারে।

চকবাজারের ব্যবসায়ী কাজী স্টোরের মালিক কাজী ফয়সাল বলেন, গত দেড় মাস আগে একসঙ্গে সব কোম্পানি প্যাকেটজাত সুগন্ধি চালের দাম বাড়িয়ে দেয়। কদিন আগে হুট করে কেজিপ্রতি প্রায় ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকায় এসে ঠেকেছে।

বাজারে পোলাওয়ের চাল হিসেবে বিক্রি করা চিনিগুঁড়া খোলা চাল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কালিজিরা বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকায়। আর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কজাত পোলাওয়ের চালের কেজি এখন ব্র্যান্ডভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। কিছু দোকানি প্যাকেটের গায়ের দামের থেকে ৫ থেকে ১০ টাকা কমিয়ে বিক্রি করছেন।

খুচরা দোকানে খোলা বাসমতি চাল (বাংলা) বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। তবে মোড়কজাত ভারতীয় বাসমতি চালের কেজি ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। পাকিস্তানি বাংলামতি চালের প্রতি কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৫৫০ টাকায়।

চখ/আরএস

এই বিভাগের আরও খবর