chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৩৮, উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশিদেরও

ভারতের ওড়িশায় মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ৬৫০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।

শনিবার (৩ জুন) সকালে ওড়িশার মুখ্য সচিব পি কে জেনা বলেন, মৃতের সংখ্যা ২৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় প্রায় ৬৫০ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, এখনও অনেকে ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জরুরি সেবাকর্মীরা। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এ দুর্ঘটনায় ভারতীয়দের পাশাপাশি উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশিদের মধ্যেও। বাংলাদেশের বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। তাদের কেউ কেউ চিকিৎসা করান কলকাতায়, অনেকে চলে যান চেন্নাই-বেঙ্গালুরুতে। এ ধরনের বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা সাধারণত করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্যবহার করেন।

শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে। অনেকেই নিকটাত্মীয়দের সম্পর্কে খোঁজ নিতে শুরু করেছেন।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও থাকতে পারেন। যদিও এখন পর্যন্ত হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশের কেউ রয়েছেন কি না নিশ্চিত করেনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রীদের অধিকাংশই পর্যটক এবং চেন্নাইসহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছিলেন। আবার অনেকেই চিকিৎসা করিয়ে ফিরছিলেন।

ট্রেন দুর্ঘটনার পরেই কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-দূতাবাস থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস শুক্রবার স্থানীয় সময় সাড়ে সাতটা নাগাদ উড়িষ্যায় বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সাধারণত বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য ওই ট্রেনটিতে যাতায়াত করে। এই বিবেচনায় দুর্ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষ এবং উড়িষ্যার রাজ্য সরকারের সাথে কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন যোগাযোগ রাখছে। এ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য উপ-হাইকমিশনের হটলাইনে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। হটলাইনে নম্বর-+৯১ ৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ (হোয়াটসঅ্যাপ)।

মআ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর