chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রমজানে লবণ পানির সংকটে ভুগবে নগরবাসী

চট্টগ্রামে রমজানে বিদ্যুৎ নিয়ে পিডিবি কিছুটা স্বস্তির খবর দিলেও, অস্বস্তির কথা জানিয়েছে ওয়াসা। হালদা নদীর পানিতে লবণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সংস্থাটির উৎপাদনে টান পড়েছে। ফলে রোজায় নাগরিকদের সুপেয় পানি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হবে। বৃষ্টি না হলে এ সমস্যা চলতে থাকবে বলেও জানা গেছে।

তবে সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, রোজায় বাড়তি চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে নগরের চারটি মডে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আটটি ভিজিলেন্স টিম। এর পাশাপাশি সংকট সামাল দিতে রেশনিং পদ্ধতিতে পানির ব্যবস্থা করবে ওয়াসা।

সূত্র জানায়, মোহরা পানি ও মদুনাঘাট শেখ রাসেল নামে হালদার দুটি পানি শোধনাগার রয়েছে। এ দুটি শোধনাগার থেকে দৈনিক ১৮ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করা হয়। কিন্তু কাপ্তাই লেক থেকে পানি ছড়া বন্ধ থাকায় ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে অতিরিক্ত লবণের মাত্রা পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় জোয়ারের পানি থেকে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। যার কারণে দৈনিক ৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন কমে গেছে। গেল কয়েক দিন ধরে এ সমস্যা চলছে বলে জানালেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির প্রহর গুনছেন তারা। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে নাগরিকদের পানি ব্যবহারে মিথব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ওয়াসা কর্মকর্তারা আরও জানান, দৈনিক সংস্থাটি ৪৮ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করতো। তবে হালদার পানিতে লবণের বেড়ে যাওয়ায় কয়েক ঘণ্টা উৎপাদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এখন দৈনিক ৪৩ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে ওয়াসা। এক্ষেত্রে কোথাও সংকট দেখা দিলে, পাইপলাইনের মাধ্যমে রেশনিংয়ের মাধ্যম পানি সরবরাহ করা হবে। বিশেষ করে নগরের পতেঙ্গা,কাট্টলী, মোহরা, ফিরোজশাহ বেশ কিছু এলাকার মানুষকে সুপেয় পানির ভোগান্তি পোহাতে হবে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, লবণের মাত্রা কমে না আসলে এ সমস্যা চলতে থাকবে। বৃষ্টি হলে এ সমস্যা কমে আসবে। তবে আপদকালীন পরিস্থিতি হিসেবে আমরা রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছি। যেখানে সমস্যা দেখা দিবে সেখানে পাইপালাইনের মাধ্যমে পানি দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো একটি এলাকার পানির সংযোগ বন্ধ রেখে অন্য জায়গায় পানি যাবে। প্রতিটি মডে একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।  এছাড়া ভিজিলেন্স টিম মাঠে থাকবে।

এক প্রশ্নে তিনি ওয়াসার এই কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত ওয়াসার সরবরাহ করা পানির শেষ অংশের এলাকাগুলোতে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে অন্য এলাকার পানির সংযোগ বন্ধ রেখে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে।

আরকে/মআ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর