chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দেশের এ সংকটে রাজনৈতিক সমঝোতা ও ঐক্য প্রয়োজন

বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী বলেছেন, দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু চারদিকে আমরা অবনতি দেখতে পাচ্ছি। দেশ মহাসংকটের মধ্যে আছে। এই সংকট কারও একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে এর সমাধান করতে হবে। এ জন্য একটি রাজনৈতিক সমঝোতা ও ঐক্য প্রয়োজন। যার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটবে।

শনিবার(৪মার্চ) খাগড়াছড়ির সেমুতাং গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন ইস্পাহানি দাখিল মাদ্রাসার  তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণকারী অসৎ রাজনীতিবিদরা মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাওয়ায় তাদের মাধ্যমে ঐক্য হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় সৎ রাজনীতিবিদসহ দেশের রাজনীতি বিমুখ ৮৫% জনগণকে সর্বজনীন ঐক্য গড়ার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলের রূপরেখা নিয়ে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি গঠনের প্রেক্ষাপট ও সর্বজনীন কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপস্থাপন করেন দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুল হালিম, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বশর দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব চক্রবর্তী,, বিপিন ত্রিপুরা, নিরেন্দ্র ত্রিপুরা, মোহাম্মদ মামুন প্রমুখ।

পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আইনের শাসন, সাম্য, সামাজিক মর্যাদার স্বপ্ন দেশে সুদূরপরাহত।

তিনি বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনে উন্নয়নের ডামাডোল দিয়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে পিষ্ট মানুষের আর্তনাদ ঢাকার অপচেষ্টা চলছে। অপরদিকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা।

আবদুর রহীম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল প্রমাণ করতে পারেনি যে তারা ক্ষমতায় থাকলে তাদের অধীনে নির্বাচন হলে সেটা গ্রহণযোগ্য হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অধীনে নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করতে হবে।

সভায় বলা হয়, স্বাধীনতার মাধ্যমে অর্জিত সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ফলে যে সরকারই ক্ষমতায় যায়, তারা স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে। স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এই স্বৈরাচারী সরকারের আওতায় মদদে কিছু মানুষ লুটের মাধ্যমে অতি ধনী হয়ে যাচ্ছে। ফলে স্বৈরাচারী সরকারের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সুবিধাভোগী দেশি-বিদেশি অতি ধনীরা মরিয়া হয়ে ওঠে অগণতান্ত্রিক সরকারকে টিকিয়ে রাখতে।