চীনের ‘টিকটক’ ছাড়লেন অভিনেত্রী শুভাঙ্গি
মিলিন্দ সোমনের পর এবার আরশাদ ওয়ারসি, রণবীর শোরেদের পর এবার ‘টিকটক’ ছড়লেন সকলের প্রিয় টেলিভিশন দুনিয়ার ‘ভাবিজি’ শুভাঙ্গি আত্রে। ‘টিকটক’-এর দুনিয়ায়া শুভাঙ্গি বেশ জনপ্রিয়। তবে জনপ্রিয়তা ভুলে দেশের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন অভিনেত্রী।
‘টিকটক’-এ তাঁর ভক্তরা তাঁর অভাব বোধ করবেন। এপ্রসঙ্গে শুভাঙ্গি বলেন, হ্যাঁ, এটা ঠিক যে টিকটকে আমার অনেক ভক্ত রয়েছেন। তাঁদের হয়ত আমি এই অ্যাপ ছাড়তে বাধ্য করতে পারি না। তবে যে দেশটি আমাদের দেশ ও দেশের সেনাদের জন্য সমস্যা তৈরি করছে, তাঁদের অ্যাপ বর্জন করাই কাম্য।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুরে সুর মিলিয়ে শুভাঙ্গি বলেন, আম সবসময় দেশি জিনিস ব্যবহারের পক্ষে। আমি নিজে যেমন হ্যান্ডলুমের জামা কাপড় পরি, তেমনই বাড়িতেও দেশি জিনিস ব্যবহার করার চেষ্টা করি। আমি আমার পরিবারের জন্যও স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি জিনিস কিনেছি। মোদীজি দেশের অর্থনীতির উন্নতিতে আমাদের সমর্থন চেয়েছিলেন। এখন থেকে সচেতনভাবেই আমি দেশি জিনিস কিনবো।
জুনে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, চীনা অ্যাপে টিকটকের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী ভারতীয়রাই। ১২ কোটি মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করেন ভারতে। এই ধরনের অ্যাপগুলি বাতিলের খাতায় ফেলার আহ্বান করেছেন ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর সেই বিখ্যাত চরিত্র সোনম ওয়াংচুক। লকডাউনে ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী দেশকে আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। স্বদেশি জিনিসপত্র কেনার আবেদন করেছেন মোদী। তার আগে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিও নিয়েছে তাঁর সরকার।
সেই সুরেই হিমালয়ের মাঝে সিন্ধুপারে বসে ওয়াংচুক বলেছেন,চীনা পণ্য বয়কট করলে সে দেশের অর্থনীতির উপরে চাপ বাড়বে। এর ফলে সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
শুধু বার্তা দেওয়াই নয়, এক সপ্তাহের মধ্যে চায়না মোবাইল ব্যবহার করবেন না বলেও জানিয়েছেন সোনম ওয়াংচুক। আর তাঁর সেই আহ্বানে একে একে এগিয়ে আসছেন তারকারা।