লক্ষীপুরের সদর উপজেলার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন (২৭)। নিজেকে পরিচয় দেন প্রাইভেটকার চালক হিসেবে। তবে এই পেশার আড়ালে আরও একটি পরিচয় রয়েছে তার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকদ্রব্য পাচারের সঙ্গে যুক্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পরও থেকে যান ধরা ছোয়ার বাইরে। শেষমেষ ২৯৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৪৪ কেজি গাঁজাসহ আটক হয়েছেন র্যাবের হাতে। এসময় মাদকের কাজে ব্যবহার হওয়া প্রাইভেটকারসহ আরও এক মাদক ব্যবসায়ী আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে গতকাল ফেনী জেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাকা রাস্তা থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়েছে। আটক মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরিফ হোসেনের (৩০) বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়ন।
র্যাব জানায়, আটক মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে কম দামে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে আসছিল। এরপর ড্রাইভিং পেশার আড়ালে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতো। গতকাল মাদকের একটি চালান ফেনী থেকে চট্টগ্রামে পাচারের তথ্য পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের তল্লাশির চৌকি বসায় র্যাব। ওই সময় একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহ হলে থামার নির্দেশ দেন তারা। তবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় প্রাইভেটকারটি আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ওই গাড়ির পেছনের সিট ও ব্যাকডাল থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। যার বাজার মূল্য ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলে জানিয়েছেন র্যাব সদস্যরা।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার জানান, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশলে মাদক পাচারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আরও তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।পরে মামলা দায়ের করা হবে।
সাআ / আরকে/ চখ