chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নিয়মের ধার ধারে না সাবের কন্টেইনার ডিপো, গুনলো জরিমানা

ট্রেড লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্সের সঙ্গে মিল নেই ব্যবসার। টিম্বার কোম্পানি হিসাবে লাইসেন্স নিলেও, এটি একটি কন্টেইনার ডিপো। গত বছরের জুনে ফায়ার লাইসেন্সে মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর দুই মেয়াদে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। 

তবে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা এবং সেফটি প্ল্যান না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি লাইসেন্স মিলেনি। এখানেই শেষ নয়, ডিপোর খালি কন্টেইনারে অবৈধ ভাবে প্রায় ২০০ ড্রাম ডিজেল মজুদ করা হয়েছে। এসব ড্রামের বেশ কয়েকটির মুখ খোলা এবং পাশেই পড়ে রয়েছে প্রচুর সিগারেটের ছাই। ডিপোতেও পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা নেই।

গত ১৪ বছরেও ডিপোতে সেফটি প্ল্যান অনুমোদনের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ২০ একরের এই ডিপোতে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কন্টেইনার থাকার কথা থাকলেও, ছিল মাত্র ৩৫ টি। এর বেশির ভাগই অকেজো। ডিপোতে একশো জন বেতনভুক্ত কর্মচারী থাকলেও, ফায়ারের প্রশিক্ষণ মাত্র ৪ জনের।  এদের কেউ ফায়ার সরঞ্জামের ব্যবহার করতে জানেন না।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে পাশ করা কোনো লে আউট প্ল্যান নেই। রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের  অভিযানের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন  অনিয়মের চিত্র উঠে আসে। এ সকল অনিয়মের অভিযোগে সাবের কন্টেইনার ডিপোর এজিএম মো. এনামুল হককে ২ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ১ মাসের মধ্যে যাবতীয় ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন,  যাদের ফায়ার লাইসেন্স নাই কিংবা লাইসেন্স থাকলেও ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে তাদের কোন ছাড় নেই। বিএম ডিপোর মতো ভয়াবহ ঘটনা দূর করতে জেলা প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকবে।

 

আরকে/ চখ

এই বিভাগের আরও খবর