chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বাইডেন-ট্রাম্প ফের নির্বাচন করতে চান

২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। একটি চরম উত্তেজনার দ্বারপ্রান্তে  মার্কিন রাজনীতি । এই নির্বাচনে কারা হবেন প্রার্থী তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তবে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি কেউ আশা করে না। সাবেক আলোচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমানের জো বাইডেন রয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা দুইজনেই আবার প্রার্থী হবেন।

নিকট মেয়াদে ট্রাম্পের নার্সিসিজম অন্ধকারে থেকে যাবে, যার চারপাশে আমেরিকান রাজনীতি আবর্তিত হবে। ট্রাম্প মনে করছেন, ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা ছাড়া তার উপায় নেই। সামনের নির্বাচনে অংশ না নিলে তার বিপদ আরও বাড়তে পারে। এতে অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার পাশাপাশি সরে যেতে পারে ভক্তরা।

কিন্তু সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া মধ্যবর্তী নির্বাচনে দেখা গেছে, ট্রাম্প আবারও হেরে যেতে পারেন। কারণ যেসব প্রার্থীকে তিনি সমর্থন দিয়েছিলেন তারা হেরেছেন। রিপাবলিকান দলে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্তিস। কারণ তিনি রিপাবলিকান পাওয়ার হাউজ হয়ে উঠেছেন।

অনেকেই তাকিয়ে রয়েছেন ভার্জিনিয়ার গভর্নর গ্লেন ইয়াংকিনের দিকে। কারণ ফ্লোরিডার গভর্নরের চেয়ে তিনি অনেক বেশি উদার। তাছাড়া রিপাবলিকানদের একটি অংশ এখনো মাইক পেন্সের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। ট্রাম্পের সময়ে পেন্স ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

রিপাবলিকান দাতা ও অফিসহোল্ডারদের মধ্যে অনেকেই ট্রাম্প থেকে মুক্ত হয়ে ডিসান্তিসের দিকে চলে যাবেন।

তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো লড়াইয়ের মাঠ থেকে ট্রাম্পকে বাইরে রাখা অসম্ভব। কারণ তিনি উপায় ভালো জানেন। প্রায়ই ভক্তদের দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের হুমকি দিচ্ছেন ট্রাম্প। তাছাড়া তিনি মনে করেন, ট্রাম্পবিরোধী ভোট যত ভাগ হবে ততই ভালো।

এদিকে ডেমোক্রেটিক শিবিরে চাপে পড়বেন জো বাইডেন। যাতে তিনি পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী না হন সেজন্য। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে তার বয়স ও বর্তমান জনপ্রিয়তায় ঘাটতি। অন্যান্য ডেমোক্রেট বিশেষ করে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যভিন নিউজম, মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার ও কলোরাডোর গভর্নর জারেড পোলিশ প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, যেসব প্রেসিডেন্ট প্রাথমিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন তাদের সময় ভালো যায় না। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারেন বাইডেন।

গণতন্ত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমেরিকানরা আতঙ্কিত। কিন্তু রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক উভয় দলেই নতুন প্রজন্মের নেতা আসছে, তারা একটি অনুপ্রেরণামূলক পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

সাআ / চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর