chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পেরুতে জরুরি অবস্থা জারি

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর দেশটির সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলোকে অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা নিয়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) এ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স‍ এক প্রতিবেদনে বলে, পেরুর প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশব্যাপী এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এমন পরিস্থিতিতে গত এক সপ্তাহ ধরে চলা সহিংস বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করার অনুমতি পেলো দেশটির সামরিক বাহিনী।

অনেকে মনে করছেন, পেদ্রো কাস্টিলোকে দীর্ঘ মেয়াদে কারাগারে রাখতে চায় পেরুর বর্তমান প্রশাসন।

পেরুর সরকারি হিসাব অনুযায়ী, কাস্টিলোকে অভিশংসনের পর ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয়জন মারা গেছেন। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন, ভবনে আগুন লাগিয়ে দেন ও বিমানবন্দরে ভাঙচুর চালান।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলবার্তো ওতারোলা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ভাঙচুর ও সহিংসতার কারণে সারাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছি। এর জন্য সরকারের কাছ থেকে জোরদার সাড়া প্রয়োজন।

এদিকে বুধবার পেরুর প্রসিকিউটররা জানান, তারা বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত কাস্টিলোর ১৮ মাসের প্রাক-বিচার আটকের দাবি করেছেন। পেরুর সুপ্রিম কোর্ট তাদের এ আবেদনটি বিবেচনা করার জন্য বৈঠক করেছে। কিন্তু পরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

কাস্টিলোর বিরুদ্ধে আগেই অভিশংসনের প্রস্তাব এনেছিলেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। কিন্তু নিজেকে রক্ষা করতে কাস্টিলো পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চালান। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি ডিক্রি জারি করে দেশ শাসনের ঘোষণা দেন।

সেসময় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে কাস্টিলো বলেন, অস্থায়ীভাবে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে। ডিক্রির মাধ্যমে শাসনভার পরিচালনা ও দেশে নতুন নির্বাচন আয়োজন করবো আমি।

তার এ ঘোষণাকে সুষ্পষ্ট অভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করেন তার নিজ ও বিরোধী দলের সদস্যরা। এরপর পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন ডেকে তাকে অভিশংসিত করা হয়। এরপরই কাস্টিলোকে আটক করা হয়।

এ ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট দিনা বোলোয়ার্তে। ৬০ বছর বয়সী দিনা পেরুর ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। ২০২৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে তার। যদিও বিক্ষোভ শুরুর পর আগাম নির্বাচনের কথা বলেছেন তিনি।

সূত্র : রয়টার্স

মআ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর