chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বাংলা বাজার ঘাটে নদী পারাপারে বাড়ছে জীবনের ঝূকি

নগরীর সদরঘাট থানার ষ্ট্র্যান্ড রোড বাংলা বাজার ঘাটে নৌকা পারাপারে কোন ধরণের নিয়নীমিতর তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত ভাড়া ও বাড়তি যাত্রী নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বাংলাবাজার ঘাট দিয়ে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর, ডায়মন্ড সিমেন্টসহ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা পারাপার হয়ে আসছে। যার কারণে সাধারণ যাত্রীরা এসব নিয়ে কথা বললে তাদেরকে পারাপার না করাসহ নানা ধরণের হুমকি দেয় তারা।

 

জানা যায়, বাংলা বাজার ঘাট থেকে ইছানগর, ডায়মন্ড সিমেন্ট ঘাটের ভাড়া ৫ টাকা। কিন্তু প্রতিটি নৌকাতে ১০ জনে নেওয়ার কথা থাকলেও নৌকার মাঝিরা ১৫-১৮ জন পর্যন্ত মানুষ নিচ্ছে। এতে করে নৌকার মাঝপথে ঢেউয়ে অনেক সময় দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার ফলে অনেকে দাড়িয়ে যেতে গিয়ে জীবনের ঝূকি নিচ্ছে। নেই কোন লাইফ জ্যাকেট, তার মধ্যে আতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদী পারাপার। একটু এদিক-সেদিক হলেই ঘটে যেতে পারে বিশাল দূর্ঘটনা। এমন ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন বাংলাবাজার ঘাটে থেকে নদী পার হলেও কর্তৃপক্ষের নেই কোন মাথাব্যথা। যদিও বাংলাবাজার ঘাট পারাপার যাত্রী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইজারাদার ও সাম্পান সমিতিকে আবহিত করলেও এখন পর্যন্ত নেই কারো ভুমিকা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ইজারার শর্ত অনুযায়ী যন্ত্রচালিত নৌকা/বোটে জনপ্রতি ৫ টাকা নেয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও ইজারাদার ও সাম্পান সমিতি তা না মেনে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে।

বাংলাবাজার ঘাট পারাপার যাত্রীকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল মনছুর আলী বাপ্পির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বারবার ইজারাদার ও সাম্পান সমিতিকে এই নৈরাজ্য বন্ধ করতে বলা হলেও তারা আইন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ২২/১২/১৯ ইং তারিখে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মাননীয় মেয়র সাহেবের বরাবরে চিঠি দিয়েছি। ঘাট সূত্রে জানা যায়, সাম্পানে করে যাত্রী পারাপারে প্রথমত মাঝিকে প্রশিক্ষিত হতে হবে। তারপর সাম্পানে দশ জনের অতিরিক্ত যাত্রী বা ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। সাম্পানে লাইফ জ্যাকেট, সিগন্যাল লাইট থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়া রাতে যে সকল সাম্পান পারাপার হবে, সেই সাম্পানের মাঝির মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা থাকতে হবে ঘাট কর্তৃপক্ষের নিকট। কিন্তু বাস্তবে কয়েকটি সাম্পানে সিগন্যাল লাইট থাকলেও অন্য কিছুই নেই। এ সকল বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের নিকট মোবাইলে যোগাযোগ করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই বিভাগের আরও খবর