chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যগত সম্পদ হিসেবে থাকবে সিআরবি

হাসপাতাল হচ্ছে না

সিআরবিতে আর হাসপাতাল প্রকল্প হচ্ছে না। সিআরবি প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যগত সম্পদ হিসেবে থাকবে। দীর্ঘ ৪৮৩ দিনের আন্দোলন শেষে সিআরবি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আজ শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।

তাছাড়া একই সমাবেশে সিআরবিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামের জাতীয় উদ্যান করার ঘোষণা দিয়েছেন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দরা।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, চট্টগ্রামবাসী ৪৮৩ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। মানুষের যে দাবি এখানে হাসপাতাল না করার জন্য, যখন সকল মন্ত্রী এমপি একমত।

তিনি বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল করতে দিব না। বঙ্গমাতার নামে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করব। চট্টগ্রামের একটা লোক বেঁচে থাকতে এখানে হাসপাতাল হবে না। চেষ্টা করব ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে এটা শোনার জন্য।

বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ টেলিফোনে যুক্ত হয়ে বলেন, সিআরবিকে রক্ষা করার জন্য যারা আন্দোলন করেছেন তারা সবাই আছেন। আমরা রেলমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছিলাম।

রেলমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়গুলো অবহিত করার পর তিনি বলেছেন, পরিবেশ প্রকৃতি নষ্ট করে কিছু হবে না। কেউ কেউ ভুৃলবশত পরিবেশের ক্ষতিকারক প্রকল্প নিয়ে ফেলে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময় পরিবেশ প্রকৃতির প্রতি আন্তরিক।

নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক ড. অনুপম সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হলো, দেশে উন্নয়ন হবে মানুষের অগ্রগতি হবে। তবে অগ্রাধিকার দিতে হবে মানুষ কি চায়।

নেত্রী বলেছেন, প্রতিটি প্রকল্পে স্থানীয় যারা সুবিধাভোগী তাদের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে বাস্তবায়ন করা। চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই স্থানের পরিবর্তে প্রকল্প অন্য স্থানে করার যে দাবি তা সংগঠিত করে আন্দোলন পরিচালনা করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রেলওয়ে যে পুনর্বিবেচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের অংশ হিসেবে তারা জনগণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার। গায়ের জোরে রেলওয়ে কিছু করেননি, তাই ধন্যবাদ।

অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন,দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, জাসদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বাবুল, সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচ এম জিয়া উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযু্দ্ধের বিজয় মেলা কমিটির মহাসচিব মো ইউনুস।

বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ঋত্তিক নয়ন সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা বদিউল আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী ও চন্দন ধর, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের তপন দত্ত, নগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহাজাহান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সংগঠক রাশেদ হাসান, স্বপন মজুমদার, জাসদ নেতা বেলায়েত হোসেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, আবুল হাসনাত বেলাল, নীলু নাগ, আঞ্জুমান আরা ও নূর মোস্তফা টিনু, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, মাহবুবুল হক সুমন, এম আর আজিম, মো. সালাউদ্দিন, শিবু চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব, শ্রমিক নেতা তোফাজ্জল হোসেন জিকু, নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, সাংস্কৃতিক সংগঠক বনবিহারী চক্রবর্তী, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, সংগঠক আমিনুল ইসলাম মুন্না, রাহুল দত্ত, তাপস দে, ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিম, আনোয়ার পলাশ, মায়মুন উদ্দিন মামুন, মো. সাজ্জাদ হোসেন জাফর, মুজিবুর রহমান বিপ্লব, শিল্পী নারায়ন দাশ ও অসিম দাশ।

এতে নগর যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ, সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগ, এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগের নের্তৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর