chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে শিবির নেতার ঢাকায় আত্মগোপন

এক সময় ছিলেন নগরীর কোতোয়ালী থানা ছাত্র শিবিরের সভাপতি। এরপর দায়িত্ব পালন করেন মহানগরের প্রচার সম্পাদক হিসেবে। এর পাশাপাশি নন্দনকানন এলাকায় গ্লাসের ব্যবসা শুরু করেন। এ সময় বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও মানুষ থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করেন। ওই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও মানুষের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ না করে চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। ঢাকার বনশ্রী রামপুরায় নিবরাস নামে একটি মাদ্রাসায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে চাবরি নেন।

তবে আত্মগোপনে থেকেও শেষ রক্ষা্ হয়নি। শিবির ক্যাডার ও এনএটিই কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ দুই সাজা প্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। যাদের বিরুদ্ধে ছয়টি সাজা ও ১১ টি পরোয়নাসহ মোট ১৭ টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রাতে ঢাকার বনশী ও পল্টন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার সাইফুল আলম নগরের কোতোয়ালী থানার নন্দন এলাকারি খাইরুল আলমের প্রকাশের ছেলে, অপর আসামি মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫) ফেনী জেলার সদর থানার লতিফ ব্যাপারীর বাড়ির মৃত আফজল রহমানের ছেলে। তিনি এনএটিই গ্রুপ এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গ্রেপ্তারের বিষয়ট নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর বলেন, আসামি সাইফুল নন্দনকানন এলাকায় গ্লাসের ব্যবসা করতেন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী কাছ থেকে কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করে ঢাকায় আত্মগোপন করে বনশ্রী এলাকার একটি মাদরাসায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন। তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। এসব মামলায় সাজা পরোয়ানা ছিল তার বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল আরও পাঁচটি মামলায়।

তিনি আরও জানান, আরেক আসামি আনোয়ার হোসেন আন্দরকিল্লা এলাকায় বই প্রকাশনার ব্যবসা করতেন। তিনি এনএটিই গ্রুপ নামের একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। প্রকাশনা ব্যবসার সময় বেশ কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার মতো ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করেই আত্মগোপন ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ছয়টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। ঢাকার পল্টন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরকে/মআ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর