chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বিশ্বের তৃতীয় ধনী আদানি ছাড়ালেন জেফ বেজসকে

২০২২ সালের শুরুতে ফোর্বস ম্যাগাজিন ধনকুবেরের যে তালিকা প্রকাশ করে তাতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন যথাক্রমে ইলন মাস্ক ও জেফ বেজস। আর দশম ও ১১তম ছিলেন ভারতের দুই ধনকুবের মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানি। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে একেবারে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন আদানি আর মুকেশ আম্বানি অষ্টমে। বড় অঙ্কের লোকসান গুনে চতুর্থ স্থানে নেমে এসেছেন বেজস।

 

তবে সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে মেটার সিইও জাকারবার্গের। তিনি ৬০ শতাংশ সম্পদ হারিয়ে তালিকায় ২৯তম স্থানে ছিটকে পড়েছেন। বছরের শুরুতে ছিলেন ১৫তম স্থানে। যদিও প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন ইলন মাস্ক। তাঁর সম্পদ আরো বেড়েছে।

ফোর্বস ম্যাগাজিন রিয়াল টাইম বিলিয়নেয়ার র‌্যাংকিং প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, যুদ্ধ, মহামারি ও মন্দার প্রভাবে এ বছর বিলিয়নেয়ার ও তাঁদের সম্পদ কমেছে। গত এপ্রিলে ৩৬তম যে তালিকা প্রকাশ করা হয় তাতে বিলিয়নেয়ার ছিলেন দুই হাজার ৬৬৮ জন। কিন্তু এখন তা থেকে ৮৭ জন কমে গেছে। বিলিয়নেয়ারদের মোট সম্পদও কমে হয়েছে ১২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালের চেয়ে ৪০০ বিলিয়ন ডলার কম।

বিলিয়নেয়ার সবচেয়ে বেশি কমেছে রাশিয়ায়। ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন হামলার জেরে দেশটিতে আগের বছরের চেয়ে বিলিয়নেয়ার কমেছে ৩৪ জন। ধনকুবের কমেছে চীনেও। দেশটিতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানের জেরে বিলিয়নেয়ার কমেছে ৮৭ জন।

রিয়াল টাইম বিলিয়নেয়ার তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নেয়ার হিসেবে প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন ইলন মাস্ক। বৈদ্যুতিক গাড়ি কম্পানি টেসলার সিইও ইলন মাস্কের নিট সম্পদ বেড়ে হয়েছে ২২৩.৮ বিলিয়ন ডলার। বছরের শুরুতে তাঁর সম্পদ ছিল ২১৯ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কিনে নিয়েছেন।

ধনীর তালিকায় জেফ বেজসকে সরিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছেন ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আরনল্ট ও তাঁর পরিবার। তাঁদের সম্পদ বেড়ে হয়েছে ১৫৪.৮ বিলিয়ন ডলার। বার্নার্ড আরনল্ট এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান ও সিইও।

তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছেন ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি। আদানি গ্রুপের এই চেয়ারম্যান এখন এশিয়ারও শীর্ষ ধনী। তাঁর নিট সম্পদ বেড়ে হয়েছে ১৩৩.৩ বিলিয়ন ডলার। চতুর্থ অবস্থানে নেমে এসেছেন জেফ বেজস। তাঁর সম্পদ কমে হয়েছে ১২৬.৯ বিলিয়ন ডলার। তিনি আমাজনের সিইও। বছরের শুরুতে বেজসের সম্পদ ছিল ১৭১ বিলিয়ন ডলার। পঞ্চম স্থানে আছেন বার্কশেয়ার হেথাওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেট। তাঁর সম্পদ ১০৪.৫ বিলিয়ন ডলার। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তাঁর সম্পদ ১০২.৯ বিলিয়ন ডলার। সপ্তম স্থানে ওরাকলের চেয়ারম্যান ল্যারি এলিসন। তাঁর সম্পদ কমে হয়েছে ১০২.৫ বিলিয়ন ডলার। অষ্টম স্থানে রয়েছেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। তাঁর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৯০ বিলিয়ন ডলার। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান। নবম স্থানে গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ। তাঁর সম্পদ ৮৩.৫ বিলিয়ন ডলার। দশম স্থানে রয়েছেন কার্লোস স্লিম হেলু ও তাঁর পরিবার। তাঁদের সম্পদ ৮১.৬ বিলিয়ন ডলার। কার্লোস স্লিম হেলু আমেরিকা মোবিলের অনারারি চেয়ারম্যান। সর্বশেষ এই তালিকায় ২৯তম স্থানে ছিটকে পড়েছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তাঁর নিট সম্পদ কমে হয়েছে ৩৬.৪ বিলিয়ন ডলার। বছরের শুরুতে তাঁর সম্পদ ছিল ৬৭.৩ বিলিয়ন ডলার।