chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নারী কণ্ঠে বিউটিশায়ানকে বাসায় ডেকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

গ্রেফতার ২

রাজধানীর শুক্রাবাদে নারী কণ্ঠের মাধ্যমে এক বিউটিশিয়ানকে বাসায় ডেকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো—মো. রিয়াদ (২৪) ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম (২৩)।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর শ্যামলীতে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার এইচএম আজিমুল হক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারী সাভারে থাকতেন। একটি অনলাইন পেজের মাধ্যমে তিনি বাসায় গিয়ে নারীদের ফেসিয়াল করিয়ে দিতেন। পেজে দেওয়া নাম্বারে গত ১১ অক্টোবর এক মেয়েকণ্ঠের মাধ্যমে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সেই নারীকে ফোন দেওয়া হয়।

এ সময় জানানো হয় শুক্রাবাদ এলাকায় ফেসিয়াল সেবা দিতে হবে। পরে সেই তথ্যের ভিত্তিতে সাভার থেকে বিউটিশিয়ান ওই নারী শুক্রাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় ছেলেকণ্ঠে একজন (রিয়াদ) তার অবস্থান সম্পর্কে ফোনে বারবার জানতে চাচ্ছিল।

সন্ধ্যার পর ওই নারীকে রিয়াদ শুক্রবাদ থেকে রিসিভ করে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় ওই বাসায় রিয়াদ, তার বন্ধু সিয়াম ও জিতু ছাড়া কেউ ছিল না।

তারা তিন জন মিলে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর সেই নারীকে রাস্তায় একটি সিএনজিতে তুলে দেয় তারা।

গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন উল্লেখ করে ডিসি তেজগাঁও বলেন, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তিনজনই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা বখে যাওয়া। নিজেদের ফ্যান্টাসির কারণেই এ ধরনের ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ধর্ষণের সাথে তাদের আরেক বন্ধু জিতুও সরাসরি জড়িত।

আজিমুল হক বলেন, ভুক্তভোগী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রথমে ধানমন্ডি থানায় যান। কিন্তু ঘটনাস্থল ধানমন্ডি থানা না হওয়ায় পরে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জ‌ড়িত আরেকজন পলাতক।

অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রেই নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ধরনের ঘটনা অনেকটাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে উল্লেখ করে বিভাগের পুলিশ কমিশনার বলেন, বাসা বাড়িতে যে কোনো সার্ভিস দেয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহক ও সেবাদানকারী ব্যক্তিদের আরও সতর্ক হতে হবে।

এদিকে গ্রেফতারকৃত সিয়াম ও রিয়াদ জানায়, তারা এই ঘটনায় সম্পৃক্ত নয়। তাদের ফাঁসানো হয়েছে।

জেএন/পিআর

এই বিভাগের আরও খবর