chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সাজেদা চৌধুরীর আসন শূন্য ঘোষণা

জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে তার সংসদীয় আসন ফরিদপুর-২ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সংসদ সচিবালয় ফরিদপুর-২ আসনকে শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ফরিদপুর-২ আসনটি উক্ত তারিখে (১১ সেপ্টেম্বর) শূন্য হয়েছে।

সংবিধান অনুযায়ী কোনো সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষিত হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হবে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় সংসদের উপনেতা ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্ম সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেন আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে টেকনোক্র‍্যাট কোটায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী করা হয়।

২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি ফরিদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। দশম ও একাদশ সাধারণ নির্বাচনেও তিনি এ জেলা থেকে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা হন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পরও তিনি এ পদে বহাল ছিলেন।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর