পরাধীনতার বৃত্ত থেকে মুক্তি
পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে শুরু করে ৭১ সাল পর্যন্ত পাক হানাদারেরা বাংলার মানুষের উপর অমানবিকভাবে
চালিয়ে যাচ্ছিলো রক্তপাত,
নির্যাতন, নিপীড়ন এবং গুলিবর্ষণ ,নিরীহ বাঙালিকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে বাচানোর জন্য সোহরাওয়ার্দী
উদ্যানে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন অসম্ভব রকমের সুন্দর এক কালজয়ী ভাষণ ।এই কালজয়ী ভাষণটি ছিল বাংলার ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক দলিল,
ভাষণে ব্যবহৃত বঙ্গবন্ধুর মুখ থেকে বের হওয়া পুস্তকসম প্রতিটি শব্দচয়নছিল কি সুন্দর আর কি সাবলীল !জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া সেই ঐতিহাসিক ভাষণে প্রকাশিত
হয়েছিল পাকিস্তান কর্তৃক বাংলার মানুষের উপর
করা শোষণের কথা,
এই পরাধীনতার বৃত্ত থেকে নিজেদের বাচাতে যেকোনো মূল্যে লাগবে বাঙালির
অধরা সেই স্বাধীনতা ৷
এ ভাষণের ফলে ঠিক যেন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার বাঁশির ডাকে সাড়া দিয়ে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী,
জেলে, কৃষক, মজুর, শ্রমিক তথা আপমার জনগণ দেখিয়েছিলো যুদ্ধে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ,বাঙালীর এই একতা,এই দলবদ্ধতার সামনে বাধা হয়ে রুখে দাঁড়ানোর সাহস রাখে ইয়াহিয়া’রা ক’জন ?
মুক্তিযোদ্ধারা রণক্ষেত্রে এ ভাষণ -ভাষণের কথা ও শব্দমালা মনে করে আপামর বাঙালী
মনের ভেতর যুগিয়েছে সাহস,অনুপ্রেরণা এবং অসীম শক্তি,ভাষণে ছুড়ে দেয়া প্রতিটা শব্দের
প্রতিফলিত রূপ হিসেবে শত্রুর
কবল থেকে দেশ মাতৃকাকে
করতে পেরেছে মুক্তি ।থার্ড সেমিস্টার
সিএসই