chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পরীর পাহাড়ে ধস ও ফাটল – পরিদর্শনে বিশেষজ্ঞ দল

ডেস্ক নিউজঃ চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পরীর পাহাড়ে ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে। আজ বিকাল ৪:৩০ ঘটিকায় পরীর পাহাড়ে অ্যাডভোকেট ক্লার্ক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডর সমিতির স্থাপনার পিছনে পাহাড়ের মাটি ধস হওয়ার স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত) খায়রুল ইসলাম। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কারিগরি টিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী ।

 

পরীর পাহাড়ের ধসে পড়া স্থানসমূহ পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল অতিদ্রুত রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও সংস্কারের পরামর্শ প্রদান করেন। সে মোতাবেক পরীর পাহাড়ের ধস প্রতিরোধে এবং ধসে পড়া স্থানের ক্ষতি প্রশমনে অতিসত্বর রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য গণপূর্ত বিভাগকে অনুরোধ করা হয়।

 

এছাড়াও যৌথ পরিদর্শক দল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল স্থাপনাসমূহের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাসমূহ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শক দল এই মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে ঝুঁকিপূর্ণ এসকল বহুতল স্থাপনার কারণে পরীর পাহাড় এলাকায় যে কোন সময় মারাত্মক পাহাড় ধ্বসসহ ভূমিকম্পে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত) জেলা জজ আদালত, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভবনের আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসমূহ দ্রুত অপসারনের নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম সম্ভাব্য পাহাড়ধ্বস ও ভূমিধ্বস হতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাসমূহ স্বীয় উদ্যোগে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

 

উল্লেখ্য, এই পাহাড়ে রয়েছে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এছাড়া এখানে রয়েছে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, জেলা ও দায়রা জজ আদালত সহ মোট ৭৬টি আদালত। এই পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখা, সাব রেজিস্টি অফিস এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক পরীর পাহাড়ের ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমি থেকে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নামে ১২.৯০ শতক জমি লিজ দলিলমূলে বরাদ্দ প্রদান করেন। তারপর থেকে কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি খাস জমি বেদখল করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এ পর্যন্ত ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি। পাহাড়ী ঢালে অনুমোদনহীন এসব ভবনের চাপে পরীর পাহাড়ে ধ্বস এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সীমানা দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।

ইহ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর