রাত ৯ টার পর মিরসরাইতে সকল দোকানপাট বন্ধ!
চট্টলা ডেস্ক : সম্প্রতি র্যাব সদস্যদের উপর হামলা,কিশোরগ্যাংয়ের উৎপাত ও মাদক কারবারিদের আনাগোনা বৃদ্ধির কারণে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের দুই পৌরসভা ও দুই থানাসহ সকল ইউনিয়নের হাটবাজারে ঔষধি দোকান ব্যাতিত সকল দোকানপাট রাত ৯টার পর থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৩০ মে) উপজেলা সমন্বয় সভায় সকলের সিদ্ধান্তমতে দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি জানান, রাত ৯ টার পরে দোকান খোলা রাখার কোন কারন আমি দেখি না।
ঢাকা শহরেও রাত ৮ টার পর দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মিরসরাইয়ের মতো গ্রামাঞ্চলে রাত ১২টা ১টা পর্যন্ত দোকান খোলা কেন থাকবে, যেখানে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বাজে আড্ডা দিবে, অপরাধে জড়াবে।
তিনি বলেন, আমাদের পরিবার কখনো সন্ধ্যার পর বাইরে থাকতে দেয় নাই। তাই আমরা আজ সফল, শিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এখনকার বাবা-মা তাদের সন্তাদের কেন ঘর মুখি করতে পারেনা।
তাদের পরিবারের দায়িত্ব তাদের ঘরমুখি করা। কিন্তু তারা পারেনাই তাই আমরা দোকান পাট বন্ধ রেখে তাদের ঘরমুখি করার চেষ্টা করছি। তাছাড়া সন্ধ্যার পর কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বাড়ে, মাদক কারবারীরা সক্রিয় হয় আইনশৃঙ্খলার অবনতী হয়।
তাই এলাকার সন্তানদের ভালোর জন্য আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের জন্য রাত ৯টা থেকে দোকানপাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি। আর এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন বাস্তবায়ন করবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা মিনহাজুর রহমান জানান, উপজেলার একটি অনুষ্ঠানে এমপি মহোদয় এমন সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
কারন হিসেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বারৈয়ারহাটে র্যাবের উপর হামলা, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত, মাদক ব্যবসায়, অবৈধ মোটর সাইকেল বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কারনে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অবৈধ মোটরসাইকেল, মাদক ও কিশোরগ্যাং এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিযানের সুবিধার্থে ও উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের স্বার্থেই অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ব্যতিত অন্যান্য সাধারন পণ্যের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন এমপি মহোদয়।
সমস্বয় সভায় অংশগ্রহন কারী বারৈয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন জানান, এমপি মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সমন্বয় সভায় সকলের সম্মতিক্রমে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে করে মাদক কারবারী ও কিশোরগ্যাংয়ের উৎপাত কমবে।
মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ সার্কেল এএসপি লাবিব আব্দুল্লাহ জানান, দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নির্দেশনা দ্রুত সংশ্লিষ্ট বাজারগুলিতে পৌছে দেয়া উচিৎ। অন্যতায় মানুষের মাঝে বিরুপ পতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
মিরসরাই সার্কেল থেকে উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হয়েছে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে সহযোগীতা করার। জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা পেলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মিরসরাইয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিরির ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব।
চখ/আর এস