আফ্রিকান মুভি দেখে রাতে ছিনতাইয়ে নামেন তারা!
নিজস্ব প্রতিবেদক:রোববার দিবাগত রাত ৩টা বেজে ২৫ মিনিট। নগরীর অক্সিজেন কুয়াইশ রোডের কাঁচাবাজার এলাকার ‘হাফসা হানিফ’ মেডিসিন ফার্মেসিতে ঢুকেন একে একে তিন থেকে চারজনের একটি দল। ফার্মেসীতে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ ৭০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব ছিনতাই করে দ্রত প্রাইভেটকার চেপে পালিয়ে যায়।
নগরীতে রাত ১০ টার পর যান চলাচলে কমে আসার পর পথচারী ও জরুরি প্রয়োজনে খোলা থাকা বিভিন্ন দোকানে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে আসা একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১১ টায় বায়োজিদ লিংক রোডে চেকপোস্ট তল্লাশির সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ টি প্রাইভেটকার, ওয়ান সুটার ও কার্তুজসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ও ছিনতাই যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়।
চক্রের সদস্যরা হলেন, বেলাল হোসেন আসলাম (২৭), মো. তানভীর ইসলাম খোকন প্রকাশ রুকন (২৭), মো. সোহেল ও কামাল উদ্দীন প্রকাশ মহিউদ্দীন (২৮)। এর মধ্যে তানভীর, সোহেল, কামালের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এবং বেলালের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উত্তর বিভাগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছিনতাইকারী চক্রের বিষয়ে তুলে ধরেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান।
মোখলেসুর রহমান বলেন, আফ্রিকার একটি মুভি দেখার পর চক্রটি ছিনতাইয়ের কৌশল রপ্ত করেন। রাত ১০ টার পর প্রাইভেটকার নিয়ে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দেন তারা। এ টহলের মধ্যে পথচারী ও জরুরি প্রয়োজনে খোলা থাকা বিভিন্ন দোকানে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করেন।
আসামিদের গ্রেফতারের পর মোখলেসুর রহমান জানান, সীতাকুণ্ডে যাওয়ার কথা বলে গেল শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর অলংকার মোড় থেকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে চক্রটি। কৌশলে ওই প্রাইভেটকার চালককে জিম্মি করে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে গাড়ির চালকের কাছ থেকে ৫০ হাজার চাঁদা দাবি করা হয়। কিন্তু অল্প সময়ে ওই টাকা দিতে না পারায় চালকের বিকাশ নম্বরের পাসওয়ার্ড জেনে নিয়ে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়।
সংবাদ সম্মলনে আরও জানানো হয়, গেল ৬ ফেব্রুয়ারি হাফসা হানিফ ফার্মেসীতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ওই ফার্মেসী মালিকের করা মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে বায়োজিদ বোস্তোমী থানা।
ঘটনার দুই দিন পর ফের আসিমরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বের হলে বায়োজিদ লিংক রোডের চেকপোস্টে তল্লাশির সময় আসামিরা ধরা পড়েন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে পাঁচলাইশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শাহ আলম ও বায়োজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
কেএম/চখ