এবার হামাসকে নিষিদ্ধ করছে যুক্তরাজ্য
ডেস্ক নিউজ: ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে নিষেদ্ধের কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। এতে গাজা উপত্যকার শাসক গোষ্ঠীকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাতারে চলে এসেছে।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিতি পাটেল বলেন, হামাসের রাজনৈতিক এবং সামরিক শাখার মধ্যে পার্থক্য করা সম্ভব নয়। আগামী সপ্তাহে দেশটির সংসদে হামাসকে নিষিদ্ধের বিলটি উত্থাপন করবেন প্রিতি পাটেল। তিনি হামাসকে “মৌলিক এবং
তীব্রভাবে ইহুদি বিরোধী” বলে অভিহিত করেছেন, সেই সাথে বলেন, ইহুদিদের রক্ষার জন্য হামাসের প্রতি নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, হামাসের উল্লেখযোগ্যভাবে সন্ত্রাসী সক্ষমতা ও তাদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য যে অপরাধ করেছে তার ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে এই আচরণ আক্রমণাত্মক। হামাস তার সমর্থকদের যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপের নিন্দা করার আহ্বান জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনে দুটি দল বেশ সক্রিয়। একটি হামাস, অন্যটি ফাতাহ। এর মধ্যে হামাসের দখলে রয়েছে গাজা এলাকা।
২০০৪ সালে আরাফাতের মৃত্যুর পর হামাস ও ফাতাহ’র মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়
এবং সেটা চরম আকার ধারণ করে ২০০৬ এর নির্বাচনের পর। ঐ নির্বাচনে হামাস জয়ী হয় এবং এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও
আরব রাষ্ট্রসমূহ ফিলিস্তিনে সাহায্য বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০০৭ সালে হামাস ফাতাহ সরকারের
নিরাপত্তা বাহিনীকে পরাজিত করে গাজার দখল নিয়ে নেয়। সেই থেকে গাজা শাসন করছে হামাস।