মদ ব্যবসায়ীর অনুগতের হামলার শিকার এনাম
এম.এ.মতিন ( বিশেষ প্রতিনিধি ): নগরীর আলোচিত অবৈধ মদ ব্যবসায়ীর অনুগত কুখ্যাত সাগর বাহিনীর হামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী এনাম (৩২) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কোতয়ালী থানাধীন ফিরিঙ্গীবাজার ফিশারীঘাট এলাকায় আনুমানিক দুপুর ২টার সময় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। এনাম একা রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় অনুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড সাগর ও তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে অতর্কিত ভাবে এনামের উপর হামলা চালায়, এতে এনাম গুরুতরভাবে মাথায় জখম প্রাপ্ত হয়। প্রায় সময় এনাম অনুপের অবৈধ মদ ব্যবসায় বাধাঁ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন জানান হৃদয় ও অভয় নামের ২জন রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ফেসবুকে ছবি ষ্ট্যাটাস নিয়ে এনামকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়। সেই সময় হৃদয় ও অভয় দুজনের সাথে এনামের তর্কবির্তকে জড়িয়ে পড়ে এক পর্যায়ে এনাম অবৈধ কিরিচ নিয়ে আসে। তখনই দুই পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে মারামারির সৃষ্টি হয়। তবে এনামের ধারালো কিরিচের আঘাতে সাগরের হাত আকাশ নামের এক ছেলের পেটের কিছু অংশ কেটে যায়, এরপরই শুরু হয় একে অপরকে ইট পাটকেল ছোড়া, ইট পাটকেলের আঘাতে এনামের মাথায় বেশির ভাগ অংশ ফেটে যায়। এনামের অনুসারীরা তাকে তাৎক্ষনিক দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে ২৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে এনাম। এখনও পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি।
অভিযোগ রয়েছে, অনুপ বিশ্বাসের অবৈধ বাংলা মদের ব্যবসা কারণেএলাকার উঠতি যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে। অবৈধ ব্যবসার সাথে আইনশৃক্সখলা বাহিনীর যথেষ্ট সখ্যতা থাকার কারণে অনুপের বিরুদ্ধে কেউ আঙ্গুল তুলে কথা বলতে পারে না স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতি মাসে এ অবৈধ মদের মহাল থেকে স্থানীয় থানাকে নির্দিষ্ট মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে আসছে অনুপ বাহিনী। এর প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে দিনের পর হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ২৬ আগষ্ট আনুমানিক রাত ২ টার সময় ফিশারীঘাট অনুপের অবৈধ মদের মহাল থেকে ৩০ হাজার চোলাই মদসহ র্যা ব জব্দ করে এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত এই মদের মহালটি সিলগালা করে দেয়া হয় এবং আটক করা হয় ৪৫জন অবৈধ মদ পানকারীদের। তারপরও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলকে দেখিয়ে অনুপ বাহিনী এখনও বহাল তবিয়তে অবৈধ মদ ব্যবসাটি পরিচালনা করছেন নির্বিঘে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মদের মহালটি বন্ধ না হলে এলাকার উঠতি তরুণ, ছাত্র সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়বে, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অচিরেই এই মদের মহালটি অবিলম্বে উচ্ছেদ করা হোক ফিরে পাবে বর্তমান মাদকমুক্ত সমাজ।