chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আ.লীগ নেতা রাসেলের উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা পেল দেড় হাজার পরিবার

ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের অনুরোধে গৃহে অবস্থানকারী প্রায় ১৫০০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রাসেল।

তিনি বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সামাজিক সংগঠন ‘ইয়ুথ ফর বিল্ডিং বেটার বাংলাদেশ’ এর ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে এই বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এছাড়াও অনেক প্রবাসীও তার এলাকায় হত দরিদ্র। তালিকা তৈরি করে তাদেরও তিনি ত্রাণ সরবরাহ করেন।

এ প্রসঙ্গে তরুণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, হাটহাজারী উপজেলার সকল ইউনিয়ন ওয়ার্ডে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছানোর চেষ্টা করছি, বিভিন্ন এলাকা থেকে তালিকা সংগ্রহ করেছি এবং তালিকা অনুযায়ী আবার তালিকার বাইরেও অনেক জনকে ত্রাণ পাঠিয়েছি।

এছাড়া অনেক সামাজিক সংগঠনকেও প্রদান করি যাতে তারা নির্দিষ্ট এলাকায় প্রকৃত ভুক্তভোগীদের নিকট তা পৌঁছে দিতে পারেন, এখন পর্যন্ত ১৫০০-১৬০০ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়, অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্য চেয়েছেন, অনেকে সরাসরি ফোন করেছেন নাম্বার সংগ্রহ করে তাদেরও সহায়তা পাঠিয়েছি, এমনকি আমার মোবাইল নাম্বার ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছি যাতে যে কেউ সহজে যোগাযোগ করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে সকলকে গৃহে অবস্থান করতে হচ্ছে তাই আমরা চেষ্টা করি সবার ঘরে ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছে দিতে তবে অনেকে এসেও নিয়ে যাচ্ছে।

আজও কিছু এতিম খানা, হেফজ খানা ও সামাজিক সংগঠনের নিকট ত্রান হস্তান্তর করা হয়। সরজমিনে আমাদের প্রতিবেদক বিভিন্ন এলাকায় গেলে এর সত্যতা মেলে। দেখা যায় প্রতিটি ইউনিয়নে ভলান্টিয়ার কো-অর্ডিনেটর মনোনিত করা হয় এবং তারা ওয়ার্ড প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা পূর্বেই উল্লেখ করেছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতা-কর্মীদের ভুক্তভোগীদের পাশে থাকার জন্য, তাই আমার ভলান্টিয়ারদের দিয়ে দৈনিক ১০-১২ ঘন্টা করে কাজ করাচ্ছি, তারাও স্বাচ্ছন্দে মেনে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি সকলকে যার যার জায়গা থেকে মানুষের সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই নেতা গত দুই সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রাম-৫ আসনের অন্তর্ভুক্ত হাটহাজারী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও চট্টগ্রাম মহানগরের ২টি ওয়ার্ডে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করে আসছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর