chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

২য় দফায় ২৫ ইয়াবা কারবারির আত্মসমর্পণ

২য় দফায় টেকনাফের ২৫ ইয়াবা কারবারি আনুষ্ঠানিকভাবে আজ আত্মসমর্পণ করছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক অনুষ্ঠানে টেকনাফ সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে আত্মসমর্পণ করবে তারা। আত্মস্বীকৃতি এসব ইয়াবা ব্যবসায়ী স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে।

এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা পুলিশ। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। সভায় সভাপতিত্ব করবেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় ২০-২৫ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে । সেখান থেকে আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, টেকনাফের নাজিরপাড়ার কালা সওদাগর, মৌলভীপাড়ার ফজল আহমদের ছেলে রিদোয়ান ও আবদুর রাজ্জাক, মৃত আমির হোসেনের ছেলে আবদুল আমিন আবুল প্রমুখ।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান থাকায় ইয়াবা ব্যবসা কমে এসেছে। কোনও মাদক কারবারিকে ছাড় দেওয়া হবে না। যেকোনভাবে এই অঞ্চল থেকে মাদক বন্ধ করা হবে।

সোমবার ৩ ফেব্রুয়ারী বিকেলে টেকনাফ সরকারি কলেজে মাঠে ইয়াবা কারবারীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের দাওয়াত পাননি উক্ত এলাকার আলোচিত সমালোচিত ২ বারের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি ও একই আসনের বর্তমান এমপি তাঁর সহধর্মিণী শাহীন আক্তার চৌধুরী।

এছাড়াও ইয়াবা কারবারের সাথে সাবেক এমপি বদি পরিবারের অনেকেই জড়িত। গত বছর ১ম দফায় আত্মসমর্পণকারীদের মাঝে তাঁর আপন ভাই রয়েছে কয়েকজন। তাছাড়া খোদ বদিকে নিয়ে রয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। তাই ২ জনেরই ইয়াবাকারবারীদের এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যাওয়া হচ্ছেনা বলে মনে করা হচ্ছে।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ হাইস্কুল মাঠে ১ম দফায় ১০২ জন ইয়াবাকারবারী আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ-উখিয়া) আসনের বর্তমান এমপি শাহীন আক্তার চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁর স্বামী ২ বারের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি সেবারও দাওয়াত প্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন না।

এদিকে দুই দফায় ১২৫ জন ইয়াবা কারবারির আত্মসমর্পন ও দুই শতাধিক বন্দুকযুদ্ধে নিত হলেও বন্ধ হচ্ছেনা ইয়াবা পাচার। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এত নজরদারীতেও কিভাবে ইয়াবা পাচার হয় তা নিয়ে উখিয়া টেকনাফ রয়েছে মুখরোচক অনেক কথা।

এই বিভাগের আরও খবর