chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মুশফিকদের বিদায় করে দিয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম

খেলা ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। আজ (১৫ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুশফিকের বেক্সিমকো ঢাকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায় মোস্তাফিজরা।

আগামী শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) ফাইনালে জেমকন খুলনার মুখোমুখি হবে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।

আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১১৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় ঢাকা। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান যোগ করেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস।

ইনিংসের সপ্তম ওভারে আকবর আলীর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রানআউট হন সৌম্য। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চারের মারে ২৩ বলে ২৭ রান। এরপর ধীর জুটি গড়েন মিঠুন ও লিটন।

তবে দুজনের কেউই শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেননি। লিটন ও মিঠুনের জুটিতে আসে ৬৪ বলে ৫৭ রান। দলীয় ১০১ রানের সময় লিটন আউট হন ৪৯ বলে ৪০ রান করে।

ম্যাচ জিততে ৯ রান বাকি থাকা অবস্থায় মিঠুন ফেরেন ৩৫ বলে ৩৪ রান করে। বাকি কাজ সারেন শামসুর রহমান শুভ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পাঁচ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় চট্টগ্রাম।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলের রান মাত্র ১৯ হতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দুই ওপেনার। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে সাব্বিরকে (১১ বলে ১১) সাজঘরে ফেরান শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারের প্রথম বলে নাহিদুলের বলে আউট হন ৭ বলে ৭ রান করা মুক্তার।

তিন নম্বরে নেমে শুরু থেকেই রানের জন্য হাপিত্যেশ করতে থাকেন নাঈম। মোস্তাফিজুর রহমানকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে প্রাথমিক চাপটা সরান, কিন্তু ডট বল খেলতে থাকেন একের পর এক।

বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানকে ছক্কা মারার চেষ্টায় ডিপ মিড-উইকেটে ধরা পড়েন নাঈম, দুর্দান্ত ক্যাচ নেন নাদীফ চৌধুরী। আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে ১২ রান করেন নাঈম।

নাঈমের মতো অবস্থা হয় অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমেরও। একদিকে শেষ হচ্ছিল ওভার, সে তুলনায় বোর্ডে উঠছিল না রান। রানের গতি বাড়ানোর তাগিদে মোসাদ্দেক সৈকতের ওভারে স্লগ সুইপ খেলেন মুশফিক, কিন্তু সীমানাছাড়া হয়নি। ডিপ স্কয়ার লেগে ফ্রন্ট ডাইভ দিয়ে অসাধারণ ক্যাচ ধরেন রাকিবুল, শেষ হয় মুশফিকের ৩১ বলে ২৫ রানের ইনিংস।

ইয়াসির আলি রাব্বি রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু সফল হননি পুরোপুরি, ইনিংসের ১৬তম ওভারের প্রথম বলে তাকে ফেরান মোস্তাফিজ। ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২৪ রান। আগের ম্যাচগুলোতে ঝড়ো ক্যামিও উপহার দিলেও, আজ ৩ বলে ২ রান করে আউট হয়েছেন আকবর।

শেষদিকে চেষ্টা করেছিলেন আলআমিন জুনিয়র। মোসাদ্দেককে ছক্কা, মোস্তাফিজকে চার ও ছয় মেরে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীই করছিলেন তিনি। তাকে থামান মোস্তাফিজ।

দারুণ এক কাটারে সোজা বোল্ড হন ১৮ বলে ২৫ রান করা আলআমিন। শেষপর্যন্ত ঢাকার ইনিংস থামে ১১৬ রানে।

নিজের ৪ ওভারে ৩২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এ ছাড়া শরিফুল ২, রাকিবুল, মোসাদ্দেক, সৌম্য ও নাহিদুল নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর