chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সাংবাদিক সরওয়ার ফিরে এলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে অপহরণকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিখোঁজের ৪ দিন পর সাংবাদিক গোলাম সরওয়ারকে বিবস্ত্র অবস্থায় সীতাকুন্ডের কুমিরা থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও এই ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। সরওয়ারের সহকর্মীরা মনে করছে একটি ‘প্রভাবশালী’ মহল ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে তাকে অপহরণ করে নিয়ে এই অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছে। সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রতিবেদক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিটি নিউজ ডট.বিডির নিবার্হী সম্পাদক।

গত ২৭ অক্টোবর নিখোঁজ হওয়ার পর গতকাল রবিবার রাতে তাকে দুবৃর্ত্তরা ফেলে যায়। আহত সরওয়ার বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে সাংবাদিক সরওয়ার চট্টলার খবরকে জানান, মুখোশ পড়া ৪-৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। তারপর মুখে রুমাল চেপে ধরা হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফ্লোরে অবিষ্কার করেন।

তিনি আরো জানান, জ্ঞান ফেরার পর দুবৃর্ত্তদের মুখের ভাষা শুনে ৩ জন ঢাকার এবং ১ জনকে চট্টগ্রামের মনে হয়। এসময় আমার কানে হেডফোন সাদৃশ্য কিছু একটা প্রবেশ করানো ছিলো। তারপর দু’দফা হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। এসময় তারা আমাকে বলতে থাকে আর ‘নিউজ গরিবি নি হ’ (আর নিউজ করবি কিনা বল)।

সাংবাদিক সরওয়ার ফিরে এলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে অপহরণকারীরা

এদিকে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামে কর্মরত সর্বস্তরের সাংবাদিকরা। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম.শামসুল ইসলাম তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘গোলাম সরওয়ারকে জীবিত ফিরে পাবার পর আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এলেও উৎকণ্ঠা কাটেনি।

কুমিরার খালের পাশে পড়ে থাকা সরওয়ারকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধারের বেশ কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে পাওয়া সরওয়ার প্রথম যে কথাটি বলেছেন, তা হল- ‘ভাই আমারে আর মাইরেননা, আমি আর নিউজ করবোনা’। তাঁর এই আকুতি আমাদের শংকাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

তাই সরওয়ার উদ্ধার হলেও আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। কারা সাংবাদিক গোলাম সরওয়ারকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত, কেন তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল-এসব প্রশ্নের উত্তর আমাদের পাওয়া চাই। তাই আন্দোলনের চুড়ান্ত সফলতা আনতে হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ রেখে ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এই ক্ষেত্রে তদন্ত ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর আরো গতিশীল ভূমিকা আমরা প্রত্যাশা করছি ’ (কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হয়েছে)।

জড়িতদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে তা জানতে চাওয়া হয় কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিনের কাছে। তিনি চট্টলার খবরকে জানান, সাংবাদিক সরওয়ার অপহরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তিনি চিকিৎসাধীন থাকায় তার সাথে আমাদের কথা বলার সুযোগ হয়নি। তবে সাংবাদিক সরওয়ার যদি কাউকে অভিযুক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চান তাহলে পুলিশ তাকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।

এমএইচকে/এএমএস

এই বিভাগের আরও খবর