chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়া বহিস্কার

অস্ত্র, মাদক ও নারী ব্যবসাসহ ভয়ঙ্কর অপরাধমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগের শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়াকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে বলে রবিবার সংগঠনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২২ (ক) উপধারা অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে আজীবন বহিস্কার করা হলো। জানা গেছে, যুব মহিলা লীগের পদ বাগিয়ে অভিজাত এলাকায় জমজমাট নারী ব্যবসাসহ ভয়ঙ্কর সব অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন পাপিয়া। নিজেকে পরিচয় দিতেন ক্ষমতার রাঘববোয়ালদের কর্মী হিসেবে। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গিয়ে নেতাদের ফুল দিয়ে সেই ছবিরও অপব্যবহার করতেন তার সব খারাপ কাজে। শুধু গত এক মাসেই এই নারী রাজধানীর অভিজাত এক পাঁচ তারকা হোটেলে বিশাল অঙ্কের বিল পরিশোধ করেছেন। এ কারণেই গোয়েন্দাদের চোখ পড়ে পাপিয়ার ওপর। একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে তার সব অপকর্মের কাহিনি। অভিযোগ রয়েছে, সব পাঁচ তারকা হোটেলেই ছিল পাপিয়ার এসকর্ট ব্যবসা। পাপিয়া হেন অপকর্ম নেই, যার সঙ্গে জড়িত নন। পাঁচ তারকা হোটেলে নারী ও মাদক ব্যবসাই তার আয়ের মূল উৎস। দেশের অভিজাত কিছু মানুষ ও বিদেশিরাই এর গ্রাহক। ইন্টারনেটে স্কট সার্ভিস খুলে বসে খদ্দেরদের কাছে তাদের চাহিদামতো সুন্দরী তরুণী পাঠাতেন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষিত সুন্দরী তরুণীদের সংগ্রহ করতেন। একপর্যায়ে তাদেরকে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য করতেন পাপিয়া। এরই মধ্যে পাপিয়ার কাছ থেকে গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত অনেক ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তির অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করেছেন র্যা ব কর্মকর্তারা। গোপন ক্যামেরায় মেয়েদের ছবি ধারণ করে তাদের নিয়মিতভাবে ব্লাকমেইল করতেন তিনি। পাপিয়ার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়- তিনি বসে আছেন বাইজিবাড়ির সর্দারনির মতো। হাতে মোটা একটি বেতের লাঠি। তার কব্জায় থাকা মেয়েরা কথা না শুনলে পেটাতেন। গতকাল সকালে স্বামী মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমনসহ কয়েকজন বিদেশে যাওয়ার প্রাক্কালে বিমানবন্দর এলাকা থেকে পাপিয়াকে আটক করে র্যািব।

 

এই বিভাগের আরও খবর