chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ফের গাজায় খাবার সরবরাহ করবে ডব্লিউসিকে

সম্প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় নিজেদের সাত কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে)। তবে এক মাস বন্ধ থাকার পর তাদের কার্যক্রম আবারও শুরু হচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ডব্লিউসিকের সঙ্গে কাজ করা অন্য একটি দাতব্য সংস্থা আনেরাও নিজেদের স্টাফ এবং তাদের পরিবারের লোকজনের জীবনের ঝুঁকি বাড়তে থাকায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখে। ত্রাণ কার্যক্রম স্থগিত করার আগে ফিলিস্তিনজুড়ে সপ্তাহে ২০ লাখ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করছিল এই দুই সংস্থা।

গাজায় ত্রাণ সংস্থার কর্মীদের প্রতিটি গাড়িকে সুপরিকল্পিতভাবে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) প্রতিষ্ঠাতা হোসে আন্দ্রেজ। অপরদিকে ইসরায়েল এই হামলার ঘটনাকে ‘মারাত্মক ভুল’ বলে উল্লেখ করে।

ডব্লিউসিকে জানিয়েছে, তারা ২৭৬টি ট্রাকে করে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে রাফা ক্রসিং দিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। রোববার এই দাতব্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, শেষ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমাদের অবশ্যই গাজার অনাহারে থাকা লোকজনের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে সংস্থাটি জানায় যে, তাদের একটি বহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সে সময় এই ঘটনায় নিজেদের ভুল শিকার করে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত শীর্ষ দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে।

রোববার এক বিবৃতিতে ডব্লিউসিকের নির্বাহী প্রধান এরিন গোর বলেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতি এখন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। আমরা একই গতি এবং সম্মানের সঙ্গে আমাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছি। আরও যত বেশি মানুষকে সম্ভব আমরা খাবার সরবরাহ করব।

এদিকে রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আবু তাহা নামের একটি পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছোট শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির এক প্রতিবেশি তাকে আবু তাহা পরিবারের একটি বারান্দা থেকে উদ্ধার করেন। ধারণা করা হচ্ছে সে তার পরিবারের একমাত্র জীবিত ব্যক্তি। বাকি সবাই হয়তো ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

ওই প্রতিবেশি বলেন, আমি তাকে তাদের বারান্দা থেকে উদ্ধার করেছি। শিশুটি সেখানে ঝুঁলে ছিল। সেই হয়তো তার পরিবারের একমাত্র জীবিত ব্যক্তি।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৪৫৪ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজার ৫৭৫ জন।

মআ/চখ