ঈদকে ঘিরে শিশুদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে মার্কেটগুলো
ঈদে সুন্দর পোশাকের প্রয়োজনীয়তাও পরিহার করা চলে না। মুসলমানদের জীবনে দুটো বড় ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল ফিতরে পোশাক-পরিচ্ছদের কেনাকাটাই প্রাধান্য পায়।
পবিত্র মাহে রমজানের ২ য় দশক শেষ হতে চলল। দিনে দিনে নিকটবর্তী হচ্ছে আনন্দ উৎসবের দিনটি। আমাদের দেশে সাধারণত অধিকাংশ মানুষ ঈদ সামনে রেখেই পোশাক কিনে থাকেন। তাতে উৎসবে নতুন পোশাক পরার কাজও হয়, আবার সারা বছরের ব্যবহারিক প্রয়োজনও মেটে। এর ফলে ঈদুল ফিতরেই সারা দেশের ছোট–বড় বিপণিবিতান, হাটবাজারের দোকানপাটে জামা-জুতো, শাড়ি-চুড়ির মতো হরেক রকম পণ্যের সবচেয়ে বড় রকমের বেচাকেনা হয়।
এই বিপণিবিতানের এন এম মার্টের স্বত্বাধিকারী নূর মোহাম্মদ জানালেন, পোশাকের দাম গড়ে প্রায় ২৫ ভাগ বেড়েছে। তাঁরা দেশি আর চীনের তৈরির পোশাকই বেশি বিক্রি করেন। যে থ্রি–পিসের দাম গতবার ৮০০ টাকা ছিল, এবার তার দাম কমপক্ষে এক হাজার টাকা।
কে-ক্র্যাফটের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিনের কাছে জানা গেল, তাঁরা এবার মা–বাবা, ছেলে-মেয়ের জন্য বিশেষ ‘কম্ব সেট’ এনেছেন। এতে শাড়ি, পাঞ্জাবি, পায়জামা, থ্রি–পিস ও ফ্রক থাকবে। চারজনের জন্য সেটের দাম পড়বে ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে।
শিশুদের হাল ফ্যাশনের নতুন পোশাকের প্রচুর সম্ভার থাকে হকার মার্কেট। পটিয়া থেকে ব্যবসায়ী আবু বকর তাঁর স্ত্রী আর আড়াই বছরের মেয়ে সাফা তাসনিমকে নিয়ে এসেছিলেন হকার মার্কেট কেনাকাটা করতে। মেয়ের জন্য জর্জেট কাপড়ের ওপর এমব্রয়ডারি ও লেইসের নকশা করা চীনের তৈরি একটি পার্টি ফ্রক কেনার জন্য দরদাম করছিলেন। আড়াই হাজার টাকা দাম চেয়েছিলেন জে এস ট্রেডসের বিক্রয় ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন। ক্রেতার কাছে দাম বেশ চড়া মনে হয়েছিল। তবে পছন্দ হওয়ায় দরদাম করে শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ২০০ টাকায় পোশাকটি কিনলেন তিনি। বিক্রেতারা জানালেন, চীনের পোশাকগুলো সর্বনিম্ন ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। ভারতের পোশাকের দাম এবার আরও বেশি। বয়সভেদে দাম নির্ভর করে। এখানে ডি আর ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেন জানালেন, ভারতের তৈরি বাচ্চাদের পোশাকগুলো ঈদে বেশ চলে। রং, ডিজাইনে নতুনত্ব থাকে। তবে এবার দাম এত চড়া যে তাঁদের নিজেদেরই দাম বলতে অস্বস্তি লাগছে। বেশি দরদাম করার সুযোগ নেই, খুব সামান্য লাভ হলেই বিক্রি করছেন।
বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিক্রেতারা আশা করছেন, আগামীকাল শুক্রবার নাগাদ ঈদের বাজার বেশ জমে উঠবে।
চখ/জুও