chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অভিযানে একদিন পর লেবুর হালি ৮০ টাকা

ইফতারে  প্রাণ সঞ্চার  করে শরবত ।আর তাই এই সময়টায় লেবুর  চাহিদা থেকে বেশী। রমজানের  প্রথম  দিনে হঠাৎ এক লাফে  লেবুর দাম বেড়েছে ৮০ টাকা।অথচ এক দিণ আগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অভিযানে  জরিমানা করা হয়।

নগরীর পাহাড়তলী  বিভিণ্ণ কাচা বাজার ঘুরে  দিনই ৫ টাকার প্রতিপিস লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাস শুরু না হতেই বাজারে অস্বাভাবিক উত্তাপ ছড়িয়েছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। লেবু, শসা, পেঁয়াজ, আলু, বেগুনসহ সেহরি ও ইফতার সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম যেন আকাশছোঁয়া। হিসাব না মেলায় চাহিদামতো পণ্য কিনতে না পেরে মলিন চেহারায় ঘরে ফিরছেন অনেক মানুষ। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে এক দিকে বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকা, অন্যদিকে করের জালকে দায়ী করছেন ভোক্তারা।

রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই শসা এবং লেবুর দাম বাড়তে শুরু করে অস্বাভাবিকভাবে। এক হালি লেবুর দাম ৮০ টাকা ছুঁয়েছে। মূলত রমজানে লেবুর চাহিদা বাড়ে ইফতারিতে শরবতের জন্য। শরবতের দুই উপাদানের একটিরও দাম মানুষের নাগালে নেই। প্রতি কেজি চিনিও এখন ১৪৫ টাকা। ফলে স্বল্প আয়ের অধিকাংশ মানুষকেই ইফতারির তালিকা থেকে শরবতকে বাইরে রাখতে হচ্ছে।

রমজানের প্রথম ইফতার হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাজারে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বিভিন্ন পণ্যের দাম শুনে অনেকেই মুখ ভার করে ফিরে গেছে। কোনোভাবেই হিসাব মিলাতে পারছেন না বেশিরভাগ ক্রেতা।

এশিয়ান ক্লথের মালিক  মো. পারভেজ বলেন, বাজারে গিয়ে ২০ টাকা দেওয়ার পর বিক্রেতা একটি লেবু দিয়েছে। মাত্র দুইদিন আগে একই লেবু কিনেছি ৫ টাকায়। অনেকটা হরিলুট হিসাব। যে যেভাবে পারছে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে।

এক ক্রেতা বলেন, ৪০ টাকার খিরা রমজান আসা মাত্রই ৮০ টাকা হয়ে গেছে। মুহূর্তের মধ্যে ডাবল দাম। সব জিনিসের দাম বাড়তি। ৮০ টাকার ডাব এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি খেসারি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে, মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, প্রতি কেজি ছোলার ডাল ১১০ টাকা, মটর ডাল ৮০ টাকা এবং মসুর ডালের মধ্যে মোটা জাতের ১১৫ টাকা এবং চিকন জাতের দেশীয় মসুর ডাল ১৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চখ/জুঈম