chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শ্রম খাতের শক্তি এখন নারী

মজুরিতে নারী শ্রমিক পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে

সকাল হতেই দুপুরে খাবার হাতেই একদল নারী শ্রমিক দের হুড়োহুড়ি জানান দেয় বাংলাদেশ ব্রেনড টাকে যারা বিশ্বের বুকে উচিয়ে ধরেন তারা দেশের নারী পোশাক শ্রমীক তাদের শ্রমেই প্রাণ পায় দেশের অর্থনীতি।

পরিবার থেকে রাষ্ট্রের চাকা চলতে থাকে, জিডিপিও বাড়ে। আর তাতে এখন ২১ শতাংশের যোগান দিচ্ছেন নারীরা। শীর্ষ রপ্তানি খাত পোশাকের সিংহভাগও এগিয়ে যাচ্ছে তাদের হাত ধরেই।

সিএপি সনদ প্রাপ্ত কারখানা গুলো মধ্যে চট্টগ্রামের ফোর এইচ  পোশাক কারখানা,হাজারে ৪০ জন শ্রমিকের ৭২ ভাগই নারী। ভিতরের তাদের কর্মযজ্ঞই সাক্ষ্য দিচ্ছে পোশাক খাতে নারীর অবদানের। শুধু কি সাধারণ শ্রমিক হিসেবে? কয়েক দশক ধরে এ খাতের নারীরা এগিয়েছেন বহুদূর।

মাত্র ১ হাজার ৬০০ টাকা বেতনে গার্মেন্টেসের সুইং হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করা আমেনা বেগম এখন টেকনিশিয়ান ম্যানেজার। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে না পারলেও এগিয়েছেন অনেক দূর। পথিকৃত হয়েছেন নারী শ্রমিকদের।

 ৯বম শ্রেণীর পর পরিবারের হাল ধরতে ঝুমা বই-খাতা ছেড়ে হয়েছেন গার্মেন্টস কর্মী। ৬ বছরের কর্মজীবনে আত্মস্থ করেছেন জ্যাকেট সেলাইয়ের জিহি মেশিনের মতো ভারীসব যন্ত্র। নিভাও স্বপ্ন দেখেন রেনুর মতো সফলতার পথে হাঁটার।

পোশাক শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও বৈষম্য কমেনি পদোন্নতির ক্ষেত্রে। তাই শুধু মুখেই উন্নত দেশ নয়, তাদের আদলে কারখানার কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে মানসিক পরিবর্তনের পাশাপাশি সামাজিক সুবিধা বাড়ানোর কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস, যে দিনটির সাথে জড়িয়ে আছে নারী পোশাক শ্রমিকের ইতিহাস। স্বল্প মজুরিতে নারী শ্রমিকের সস্তা শ্রম কেনার প্রতিবাদে গড়ে উঠেছিল যে আন্দোলন, তা এখন অনেকটাই সফল। কেননা সময়ের সঙ্গে বদলেছে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের পার্থক্য। যদিও দেশের সর্বত্র এখনও পুরোপুরি দূর হয়নি নারী শ্রমিকদের শোষণ।

এই বিভাগের আরও খবর