জীবন একটাই, চলে গেলে সংশোধনের সুযোগ নেই। আমি বাংলাদেশের সব হাসপাতাল বন্ধ করার পক্ষে না। কিন্তু হাসপাতালগুলোকে যা যা দরকার, সেগুলো মেনে যদি চলে কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
শনিবার (০২ মার্চ) ঢাকায় রেডিসন ব্লু হোটেলে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত ২৩তম ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস ও সায়েন্টিফিক সেমিনার ২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল জানান, ‘যেখানে সেখানে তো একটা আইসিইউ খোলা যায় না। একটা আইসিইউ খুলতে যা যা প্রয়োজন তা সবই থাকা লাগবে। আমরা যে অভিযান চালাচ্ছি, এই অভিযান চলবে, এটি বন্ধ হবে না। মাঝামাঝে প্রয়োজন হলে আমিও যাবো। আমরা সংশোধন করে একটা সুন্দর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই, যাতে সাধারণ মানুষ ভালো চিকিৎসা পায়।’
তিনি বলেন, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সেসব হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে, যা যা ক্রাইটেরিয়া দরকার সেগুলো মেনে যদি হাসপাতাল চলে কোনো আপত্তি নেই। আমরা একটা সুন্দর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছি, যেন সাধারণ মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা পায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অগ্নিকাণ্ড রোধে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থাকে সজাগ হতে হবে। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৫টা প্রাণ চলে গেল। এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না। আমি আশা করি, এর বিরুদ্ধে অভিযান চলা উচিত ও চলবে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর অন্য কোনো অংশের চিকিৎসকদের চেয়ে কম না। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সবই আছে। শুধু একটু সুযোগ দিতে হবে। সুযোগ দিলে এদেশের চিকিৎসকরা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। সেই সুযোগ দেওয়ার জন্যই আমি দায়িত্বটা পেয়েছি এবং এ দায়িত্ব আমার।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত ২৩তম ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস এবং সায়েন্টিফিক সেমিনার ২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমসহ দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
মোহভ/চখ