chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ডিজিটাল ডিভাইসের ভিড়ে হারিয়ে গেছে ক্যাসেটের জনপ্রিয়তা

আনন্দ  কিংবা  অবিচ্ছেদ্য উদযাপনে গানের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা নিবিড়। একসময়  ক্যাসেটের দোকানে থাকতো উপচে পড়া ভিড়। ইদের আগে লম্বা লাইন থাকতো ক্যাসেট ডেলিভারির। সময় বদলেছে। সেইসঙ্গে বদলে গেছে ক্যাসেটের বাণিজ্যও। এখন যেনো সবই স্মৃতির পাতায়।

আবিষ্কারের পর থেকে অডিও রেকর্ড ও প্লে-ব্যাকের জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে ওঠে ক্যাসেট। ৬০ এর দশকে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০ বিলিয়ন ক্যাসেট বিক্রি হয়। গ্রামোফোনের রেকর্ড কিংবা সিডি থেকে ক্যাসেটের রাজত্ব ছিলো বেশি। মো. উজ্জ্বল ক্যাসেট রেকর্ডিংয়ের সাথে জড়িত ৮০র দশক থেকে। ১৯৯০ এর দশক ছিল বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের সোনালী যুগ। একের পর এক অ্যালবামে বাজিমাত সেসময়। ৬০ মিনিটের একটি ক্যাসেট বিক্রি হতো ৩০ টাকায়। ঈদের সময় ব্যবসা ছিলো জমজমাট। লাইন দিয়ে লোক দাঁড়াত, সে লাইন মার্কেট ছাড়িয়ে রাস্তায় গিয়ে পড়ত। হাতে থাকত ডেলিভারি স্লিপ। বিশিষ্ট লোকদেরও দেখা যেত সেই লাইনে। রেকর্ডিংয়ের কর্মীদের ব্যস্ততা এমন ছিলো যে, তারা ইফতার করার সময় পেত না।

চট্টগ্রামে গানের ক্যাসেটের চাহিদায় শুধু  টিকে আছে মাত্র ৩ থেকে ৪টি ক্যাসেটের দোকান। একসময় রেইনবো থেকে সিডি কিনতে আসতেন জেমস ও আইয়ুব বাচ্চুর মতো জনপ্রিয় ব্যান্ড সঙ্গীতের তারকারা। ক্যাসেটের সেই সময়টা এখন মনে করেন অনেকেই। নতুন গানের অ্যালবাম রিলিজ নিয়েও শিল্পীদের মাঝে ছিলো ব্যাপক আয়োজন।

বর্তমানে এলবাম রিলিজ পাচ্ছে বিভিন্ন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে। ২০০০ সাল পর্যন্ত ক্যাসেট ও সিডির ব্যবসা ভালোই ছিলো। স্ট্রিমিংয়ের যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন আর ব্যবসা নেই সিডি-ক্যাসেটের দোকানীদের। এখন অনেকে শখ করে ক্যাসেট থেকে ক্যাসেট অথবা ক্যাসেট থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে গান রেকর্ড করেন, আবার অনেকেই তৈরি করেন ক্যাসেটের সংগ্রহ।

চখ/জুঈম

এই বিভাগের আরও খবর